দ্বিতীয় ওডিআইতে আবারও মিচেল স্টার্কের প্রথম স্পেলে বিপর্যস্ত ভারতের টপ অর্ডার। ভারতীয় দলের প্রথম চার উইকেট বাঁ-হাতি পেসার তুলে নেওয়ার পরে পঞ্চম উইকেট পান শন অ্যাবট। তবে সেই উইকেটের পতনে বোলারের চেয়ে অনেক বেশী অবদান রেখেছিলেন সেকেন্ড স্লিপে ফিল্ডিং করা স্টিভ স্মিথ। অ্যাবটের একটি হার্ড লেংথের ডেলিভারি শরীরের চেয়ে দূরে ব্যাকফুটে খেলতে যান এবং বলটি তাঁর ব্যাটের বাইরের প্রান্তে লাগে। স্মিথ তাঁর ডান দিকে লাফিয়ে এক হাতে একটি অসামান্য ক্যাচ ধরেন।
Advertisement
Advertisement
হার্দিক পান্ডিয়া মাত্র তিন বলে ১ রান করে আউট হন এবং ভারত ৪৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায়। বিশাখাপত্তনমের পিচে অতিরিক্ত বাউন্স একটি কারণ হতে পারে হার্দিকের ব্যাটের বাইরের প্রান্তে বল লাগার। তবে স্মিথ দুর্দান্ত শারীরিক নমনীয়তা দেখিয়ে বলের কাছে তাঁর ডান হাত না পৌঁছতে পারলে হার্দিক বেঁচে যেতে পারতেন। অস্ট্রেলিয়ার অস্থায়ী অধিনায়ক চমকপ্রদ ভঙ্গিতে লাফ দিয়ে ক্যাচটি সম্পূর্ণ করে ক্রিজে হার্দিকের স্থায়িত্ব সংক্ষিপ্ত করেন।
অ্যাবটের অফ স্টাম্পের বাইরে ডেলিভারিটি হার্দিক যেভাবে খেলেছিলেন তাতে ব্যাটারের ত্রুটি ছিল। ডেলিভারিটি ছেড়েও দিতে পারতেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। রক্ষণাত্মক শটটি খেলার সময়ে একেবারেই নিয়ন্ত্রণে ছিলেন না তিনি এবং সেকেন্ড স্লিপের দিকে বলটি পাঠান। বলটির গতিপথ স্মিথের প্রাথমিক অবস্থান থেকে অনেক দূরে ছিল, তবে ৩৩ বছর বয়সী অতিমানবিক ডাইভ দিয়ে বলটি ধরে নিতে সক্ষম হন।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আবারও টপ অর্ডার ধসে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত সূচনা পায়নি ভারত। প্রথম দশ ওভারের মধ্যে ভারতের অর্ধেক দল প্যাভিলিয়নে ফেরত যায় এবং কোনো ব্যাটারই স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ভারতের স্কোর ছিল ৫১/৫। সূর্যকুমার যাদব পরপর দুই ম্যাচে প্রথম বলে ডাকে আউট হন।
বিরাট কোহলি (৩৫ বলে ৩১) ছাড়া ভারতের কোনো ব্যাটারই কুড়ি রানের গণ্ডী টপকাতে পারেননি। তবে কোহলিও ভারতকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেননি এবং ন্যাথান এলিসের বলে এলবিডাব্লিউ আউট হন তিনি। বিশাখাপত্তনমের মেঘলা আবহাওয়ায় পেসাররা দাপট দেখানো অব্যাহত রাখেন। প্রতিবেদন লেখার সময় অবধি ভারতের স্কোর ২৪.৪ ওভারে ১০৩/৮।