সিরিজ বাঁচানোর মরণ পণ লড়াইতে ভারতীয় দলের জন্য নিউল্যান্ডসে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট অপেক্ষা করে আছে

India Team Practice
India Team Practice. ( Photo Source: BCCI/Twitter )

সেঞ্চুরিয়ানের পর বুধবার কেপটাউনে শুরু হতে চলেছে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টেস্ট। সিরিজ বাঁচানোর মরণ পণ লড়াইতে ভারতীয় দলের জন্য নিউল্যান্ডসে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট অপেক্ষা করে আছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও পিচ থেকে তেমন সহায়তা পাবেন না স্পিনারা। সেঞ্চুরিয়নের বাইশ গজে বোলাররা ব্যর্থ হলেও উইকেট তোলার জন্য মূলত তাকিয়ে থাকতে হবে এই মুহূর্তে জোরে বোলারদের দিকে। ফলে এই মাঠে দক্ষতার বড় পরীক্ষা দিতে চলেছেন যশপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজরা।

এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি বোলার অ্যালান ডোনাল্ড। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে স্পষ্টত জানিয়েছেন, ‘ স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের পরিবেশে দক্ষিণ আফ্রিকা অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। দক্ষিণ আফ্রিকার জোরে বোলাররা ব্যাটসম্যানের প্রান্তের ৫ থেকে ৫.৫ মিটারের মধ্যে অনবদ্য ডেলিভারিগুলির মধ্যে দিয়ে উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হয়েছে। তবে ভারতীয় বোলারদের থেকে দাবাডারা অনেক বেশি ধৈর্য দেখিয়েছে প্রথম টেস্টে। খাটো লেন্থের বল করার ক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে।’

ডোনাল্ড নিজের অভিমত ব্যক্ত করে বলেন যশপ্রীত বুমরাহকে বাদ দিলে বাকি কোনও ভারতীয় বোলার সেঞ্চুরিয়ানের উইকেটকে বিশেষভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। তাদের এই ব্যর্থতার সুযোগটি ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা।

ওরা শর্ট লেন্থের বলকে অবলীলায় স্কোয়ার লেগের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিতে পেরেছে। অবশ্যই ধৈর্যচুতি ঘটেছে ভারতীয় জোরে বোলারদের। যদিও ডোনাল্ড মনে করছেন, কেপটাউনের পিচ রোহিত শর্মাদের জন্য ব্যাটিং সহায়ক হবে। তাঁর অভিমত আবহাওয়া মূলত দুটো দলকেই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সমস্ত শক্তি নিংড়ে দিয়ে নিজেদের সেরা বোলিং বার করে আনতে হবে দুটো দলকে। ডোনাল্ড উইকেট নিয়েও নিজের মতামত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন কেপটাউনের উইকেট অনেক বেশি পাটা ও ব্যাটিং সহায়ক। ফলে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে রান করে অনেক বড় জুটি তৈরি করার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তবে ভারতীয় দলকে স্পিন নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে হবে বলেই মনে করছেন কিংবদন্তী প্রোটিয়া। তুমি নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে বলেন, নিউল্যান্ডসে সকালের দিকে নতুন বলে সুইং কার্যকরী হলেও বলের পালিশ পুরোনো হলে বোলারদের গতিতে বৈচিত্র আনতে হবে। ২৫-৩০ ওভারের পর কোকাবোরা বল পুরোনো হলে ভারতীয় দলকে  এমন দুজন বলার কে নির্বাচন করতে হবে যারা পুরো শক্তি ব্যবহার করে খাটো লেন্থের বল করতে সক্ষম। একদিক থেকে স্পিনার যেমন রানকে বেঁধে রাখার চেষ্টা করবে অন্য দিক থেকে জোরে বোলাররা মাথা খাটিয়ে বোলিংটা করলেই সফলতা আসবে। এই পরিস্থিতিতে কেপটাউন টেস্ট কার্যতই আকর্ষণীয় হতে চলেছে বলে মনে করছেন অ্যালান ডোনাল্ড।