দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ রিপোর্ট

BANW vs INDW
BANW vs INDW. (Photo Source: Bangladesh Cricket)

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ফারগানা ১০২স্কোর করে সমতা ফেরাতে সমর্থ হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম চারজন ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি করে এক অনবদ্য নজির গড়ে। অন্যদিকে বাংলাদেশের তরফে ফারগানা হকের একটি অনবদ্য সেঞ্চুরিও রয়েছে। তাঁর এই সেঞ্চুরি বাংলাদেশ মহিলা দলকে অনেকটা জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে তারা এই লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। আট উইকেট হাতে থাকতেই স্কোরবোর্ড প্রোটিয়াদের জন্য জয়ের বার্তা বয়ে আনে।

অ্যানেক বোশ তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেও অপরাজিত ৬৫রানের ইনিংস খেলে যান। যে ইনিংসে অনবদ্য ৭টি বাউন্ডারির সমাহার লক্ষ্যঃ করা যায়। পরবর্তীতে তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে শুন লাস ১১৭রানের ইনিংস রচনা করেন। ২০ওভার ধরে তাঁদের এই পার্টনারশিপটি চলে। ম্যাচের শেষর্ধে ৩১বলে ৫১রান বাকি থাকে। বোশ তাঁর অর্ধশত রানটি ৪৩তম ওভারে শেষ করে। তাজমিন ব্রিটস ও অধিনায়ক লরা ওলভার্ড-র মধ্যে ১০৬ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ তৈরী হওয়ার পরবর্তীতে বাংলাদেশ পরপর দুবার আক্রমণে এগিয়ে আসে। ঋতুমণি ২৫তম ওভারের শেষে ৫০রানে ব্রিটসের উইকেট নিতে সক্ষম হন। অন্যদিকে ফাহিমা খাতুন ২৬তম ওভারের শুরুতেই ৫৪রানে ওলভার্ডের উইকেট তুলে নেন। যাই হোক, পরবর্তীতে বোশ ও লুউশ বিনা বাধায় অনবদ্য ইনিংস খেলে জয়ের দিকে দলকে নিয়ে যান। 

এইদিনই, হক ১০২রানের সেঞ্চুরি করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি সম্পন্ন করেন। বাংলাদেশের ২২২রান তাড়া করতে ১৬৭বল তারা ফেস করে। তিনি ৪টি উইকেট পড়ার পরেও ফাহিমার সাথে পার্টনারশিপে ৯৩রান বিল্ড আপ করেন। এই ইনিংসে টোটাল ১১টি চার ছিল। বাংলাদেশের তরফে ফাহিমা খাতুন ৪৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংস তৈরী করে ম্যাচ জেতানোর প্রচেষ্টা করলেও সেটি ব্যর্থ হয়। বিশেষত বাংলাদেশের বোলাররা এক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যর্থ হয়। প্রথমের দিকে পার্টনারশিপ ভাঙার ক্ষেত্রে ফাহিমা খাতুন ও ঋতুমণির প্রচেষ্টা থাকলেও পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। বাংলাদেশের অন্যান্য বোলাররা এক্ষেত্রে অ্যানেক বোশ ও সুন লুউশের সামনে দক্ষতা দেখাতে বিপুলভাবে ব্যর্থ হন। বাংলাদেশ তাদের ইনিংসের শেষ তিন ওভারে ২৬ রান যোগ করে। অন্যদিকে ফারগানা চার বল বাকি থাকতে রান আউট হওয়ার আগে শেষ ওভারে নিজের শতরান সম্পূর্ণ করেন। শনিবার বেনোনিতে এই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ান ডে অনুষ্ঠিত হবে।