কঠিন পিচে মাত্র ৮২ বলে চমকপ্রদ সেঞ্চুরি শুবমান গিলের, ইনিংস শেষে পৌঁছলেন কেরিয়ার-সেরা ১৩০ রানে

১৫টি চার ও ১টি ছয়ের সাহায্যে ১৩০ রানে থামল গিলের ইনিংস

Shubman Gill. (Photo Source: Twitter)

২২শে অগাস্ট (সোমবার) হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে জিম্বাবোয়ের মুখোমুখি হয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ব্যাটার শুবমান গিল ১২০-এর উপরে স্ট্রাইক রেট রেখে একটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে একটি কঠিন পিচে মেন ইন ব্লুকে প্রথম ইনিংসে বড় স্কোরের দিকে নিয়ে গেছেন।

Advertisement
Advertisement

টিম ইন্ডিয়া টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। উদ্বোধনী ব্যাটারদের হিসেবে নামেন অধিনায়ক কেএল রাহুল ও শিখর ধাওয়ান। সফরকারী দলকে শুরু থেকেই বেগ পেতে হয়। অত্যন্ত ধীর গতিতে প্রথম পাওয়ার প্লেতে রান ওঠে এবং দুজনের জুটি ৫০ রান পার করলেও ১৫তম ওভারে রাহুল ৪৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন এবং স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ৬৩। 

শুবমান গিল ও ঈশান কিষাণের ১৪০ রানের পার্টনারশিপ

ধাওয়ান তখন গিলের সাথে যোগ দেন এবং উভয় ব্যাটার একটি পার্টনারশিপ গঠনের চেষ্টা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ধাওয়ানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত যেতে হয় ব্র্যাড ইভান্সের বোলিংয়ে। বাঁ-হাতি ব্যাটার ৬৮ বলে ৪০ রান করেন এবং পাঁচটি বাউন্ডারি হাঁকান। ধাওয়ানের পতনের পর তাঁর জায়গায় এসেছেন আরেক বাঁ-হাতি ব্যাটার ঈশান কিষাণ।

ঈশান ও গিল দুজনেই ইনিংস পুনর্গঠন করতে চেয়ে শুরুতে সতর্কভাবে খেলেছেন। যদিও, গিল আক্রমণাত্মক শট খেলা শুরু করে দেন ২০ বল মতো খেলার পরেই। ডানহাতি ব্যাটার পুরো ইনিংস জুড়ে প্রতিটি বল তার যোগ্যতা অনুযায়ী খেলেন এবং খারাপ বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ১০০-র বেশী স্ট্রাইক রেট বজায় রাখেন বরাবর।

অন্যদিকে কিষাণ শুরুতে ধীরগতিতে খেলছিলেন এবং ১৪ বলে মাত্র ২ রানে ছিলেন। যদিও সেখান থেকে মাত্র ৬১ বলে তাঁর পঞ্চাশ পূর্ণ করেন। বাম-হাতি ব্যাটার ছয়টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। তবে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেই তিনি রান আউট হয়ে যান। ওই একই ওভারে আউট হন দীপক হুডাও।

গিল এরপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। সেঞ্চুরি করার সময়ে তাঁর সংগ্রহে ছিল ১২টি বাউন্ডারি। গিল ইদানীং ভালো স্পর্শে আছেন এবং এই ইনিংসে দৃঢ়ভাবে শেষ করেছেন। উল্লেখ্য, বিদেশের মাঠে সেঞ্চুরি ভারতের কনিষ্ঠ ব্যাটারদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন গিল। সব মিলিয়ে যুবরাজ সিং ও বিরাট কোহলির পরে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।