সাই সুধারসানের সুদৃশ্য ইনিংসের সৌজন্যে আইপিএল ফাইনালের সর্বোচ্চ স্কোর খাড়া করল গুজরাত টাইটান্স

৪৭ বলে ৯৬ রান করেছেন সুধারসান

Sai Sudharsan
Sai Sudharsan। (Photo Source: IPL/BCCI)

গত মরসুমের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স আইপিএল ২০২৩ ফাইনালে চারবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসের উপরে শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করেছিল। ওপেনিং জুটিতে ৬৭ রান ওঠার পরে শুবমান গিল যখন আউট হলেন, তখন মনে হয়েছিল চেন্নাইয়ের বোলাররা কিছু সময়ের জন্য স্বস্তি পাবেন। তবে সিলেবাসের বাইরে থেকে চলে এলেন সাই সুধারসান। তাঁর শ্বাসরুদ্ধকর ইনিংসের পরে আইপিএল ফাইনালে সর্বোচ্চ স্কোর খাড়া করেছে টাইটান্স।

২১ বছর বয়সী ব্যাটার মাত্র ৪৭ বলে ৯৬ রান করে আহমেদাবাদের দর্শকদের সামনে ব্যাটিংয়ের মাস্টারক্লাস প্রদর্শন করেছেন। চেন্নাইয়ের অধিনায়ক এমএস ধোনির যাবতীয় স্ট্র্যাটেজিকে অকার্যকর করে দিয়ে সুধারসান ৮টি চার ও ৬টি ছয় দিয়ে তাঁর ইনিংস সাজান।

অরেঞ্জ ক্যাপ দখলে রাখা শুবমান গিলের ক্যাচ মিস দিয়ে ম্যাচ শুরু করেছিল ইয়েলো আর্মি। দ্বিতীয় ওভারে স্কোয়্যার লেগে দাঁড়ানো দীপক চাহার ক্যাচটি ছেড়েছিলেন। ম্যাচ যত এগোতে থাকে, তাদের দিন খারাপতর হতে থাকে। সুপার কিংসের ফিল্ডারদের দৈন্যের কারণে বেশ কিছু অতিরিক্ত বাউন্ডারি পায় টাইটান্স। তবে স্টাম্পের পিছনে এমএস ধোনির বিদ্যুৎ গতির স্টাম্পিংয়ের ফলে ২০ বলে ৩৯ রান করে ড্রেসিং রুমে ফিরতে হয় গিলকে।

গিল আউট হওয়ার পরে আক্রমণাত্মক শট বেশি খেলতে শুরু করেন ঋদ্ধিমান। মাঝের ওভারে রবীন্দ্র জাডেজা ও মাহীষ থিকশানা রানের গতি কমিয়ে দিলেও, জাডেজার বিরুদ্ধে দুটি চার মেরে ইনিংস সচল রাখেন উইকেটকিপার-ব্যাটার। মরসুমের দ্বিতীয় হা-সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ঋদ্ধিমান যখন দীপক চাহারের ডেলিভারিতে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হচ্ছেন, তখন তাঁর নামের পাশে ৩৯ বলে ৫৪।

সাই সুধারসান সিএসকের পেসারদের বিরুদ্ধে ডেথ ওভারে নির্মম হয়ে ওঠেন

মন্থরভাবে ইনিংসের শুরু করেছিলেন সুধারসান। প্রথম ১২ বলে মাত্র ১০ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। মাথিশা পাথিরানার প্রথম ওভারে দুটি চার মেরে ছন্দ পান বাঁ-হাতি ব্যাটার। এরপরে শ্রীলঙ্কার স্পিনার থিকশানার বিরুদ্ধে দুটি ছক্কা হাঁকানোর পরে থামানো সম্ভব হয়নি তাঁকে। তবে তাঁকে সংহারকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ১৭তম ওভারে, যখন তুষার দেশপান্ডের বিরুদ্ধে ১৯ রান করেছিলেন।

২১ বছর বয়সী ব্যাটারের সৌজন্যেই দুশো রানের গণ্ডী অতিক্রম করেছিল টাইটান্স। ফাইনালে চাঞ্চল্যকর সেঞ্চুরি পাওয়া থেকে মাত্র চার রানে পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি, যখন পাথিরানার ইয়র্কার এলবিডাব্লিউ হন। মাত্র ৪৭ তাঁর ৯৬ রানের ইনিংসটি আইপিএলের ফাইনালের ইতিহাসে একজন আনক্যাপড ভারতীয়ের সর্বোচ্চ স্কোর এবং আইপিএল ফাইনালের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।