এলিমিনেটর ম্যাচে আরসিবি-কে ৪ উইকেট হারিয়ে এ বার কোয়ালিফায়ার ২-তে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে খেলবে কেকেআর। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ সুনীল নারিন। টসে জিতেই সোমবার কোহলী জানিয়েছিলেন, পিচ দেখে তাঁর ভাল লেগেছে। মনে হয়েছে প্রথমে ব্যাট করার পক্ষে উপযুক্ত। তিনি এবং দেবদত্ত পাড়িক্কল মিলে শুরুটা ভালই করেছিলেন। কিন্তু টসের সময় বাকিরা কোহলীর বার্তা বোধহয় ঠিক ভাবে শুনতে পাননি। না হলে প্রথম উইকেট পতনের পরেই এ ভাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হত না। লকি ফার্গুসনের বলে পাড়িক্কল ফেরার পরেই আগের ম্যাচের নায়ক শ্রীকর ভরত নেমেছিলেন। কিন্তু তিনি মাত্র ৯ রান করেই সাজঘরে। এরপর কোহলী (৩৯), ডিভিলিয়ার্স (১১) এবং ম্যাক্সওয়েলকে (১৫) রীতিমতো বোকা বানিয়ে তুলে নিলেন নারাইন।
Advertisement
Advertisement
চলতি মরসুমে খুব একটা অসাধারণ হয়তো খেলেননি ক্যারিবিয়ান বোলার, কিন্তু প্রায় প্রতি ম্যাচেই নিঃশব্দে নিজের মতো করে অবদান রাখার চেষ্টা করেছেন। তাঁর চারটি এবং ফার্গুসনের দুই উইকেটের দাপটে ১৩৮-এ থামে আরসিবি-র ইনিংস।
ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটি দারুন শুরু করে। কিন্তু এদিন যেন নারিনের জন্যই তোলা ছিল। বল হাতে ভেলকি দেখানোর পর ব্যাট হাতে কামাল। অনেকদিন পর দেখা গেল ব্যাটার নারিনের কামাল। বেঙ্কটেশ ফেরার পরেই ওভারেই সিরাজকে তিনটি ছক্কা মারলেন তিনি।
কেকেআর শিবিরে যে সামান্য শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা কেটে গেল ওই একটা ওভারেই। সেই ওভার থেকে এল ২২। কেকেআর-এর রানও ১০০ পেরিয়ে গেল। এরপরে কিছুটা রান তোলার গতি কমে যায়। এক সময় তিন বলের ব্যবধানে নারাইন (২৬) এবং দীনেশ কার্তিককে (১০) হারিয়ে বিপদে পড়েছিল কেকেআর। ম্যাচ এমনকী শেষ ওভার পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কোনও অঘটন ঘটাতে পারেনি আরসিবি।