এমএস ধোনির নেতৃত্বাধীন দল এখন টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল হিসেবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে একাসনে বসেছে। টাইটান্স তাদের ২০ ওভারে ২১৪/৪ করেছিল সাই সুধারসানের ৪৭ বলে ৯৬ ও উইকেটকিপার-ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহার ৫৪ রানের সৌজন্যে।
সিএসকে যখন তাদের তাড়া শুরু করেছিল ঠিক তখনই বৃষ্টি নেমে আসে যার ফলে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় বিরতি ছিল। রাত ১২:১০-এ যখন খেলা শুরু হয়েছিল, তখন তাদের লক্ষ্য ছিল ১৫ ওভারে ১৭১ রান। সিএসকের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কওয়াড় (১৬ বলে ২৬) ও ডেভন কনওয়ে (২৫ বলে ৪৭) ৭৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন।
হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে সিএসকের দিকে একবার পাল্লা ভারী হওয়ার পরে, টাইটান্স কিছু ওভার বাদেই নিয়ন্ত্রণে ফিরে আসছিল। ম্যাচের শেষ ওভারে সিএসকেকে ১৩ রান করতে হত। সেখান থেকে সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ১০ রানে। সেই সময়েই অভিজ্ঞ রবীন্দ্র জাডেজা ম্যাচটি তাঁর দলের দিকে ঘুরিয়ে দেন। মিডিয়াম পেসার মোহিত শর্মার বিরুদ্ধে একটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকিয়ে দলকে জেতান জাডেজা।
সিএসকের জয়ের পরে জিওসিনেমাতে বিশেষজ্ঞ সুরেশ রায়না বলেছেন, “আমি খুব খুশি যে রবীন্দ্র জাদেজা বিজয়ী শটটি হিট করেছিল। মোহিত শর্মার দুর্দান্ত ওভারের শেষে একটি ছক্কা ও একটি চার মেরে দলকে জিততে সাহায্য করল। এটা চাঞ্চল্যকর ছিল। জাডেজাকে জড়িয়ে ধরল এমএস ধোনি। এটি একটি বিশাল মুহূর্ত, সমগ্র ভারত তাদের সমর্থন করছিল। রবীন্দ্র জাডেজা এমন কিছু করেছে যা শুধু স্যার রবি জাডেজাই করতে পারে।”
জিওসিনেমার আরও এক বিশেষজ্ঞ এবি ডি ভিলিয়ার্স বলেছেন, “আমি আইপিএলের সেরা টুর্নামেন্ট দেখলাম। আমরা অনেক ঘনিষ্ঠ ম্যাচ দেখেছি এবং ফাইনালটাও নিখুঁত ছিল। আইপিএল ২০২৩-এর বিজয়ী সম্বন্ধে জানা গেল শেষ বলে। আমি খুশি।”