হার্দিকের আউট নিয়ে সোচ্চার অশ্বিন

তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে অখুশি অনেকেই

Hardik Pandya dismissal. (Image Source: Disney+ Hotstar)

১৮ই জানুয়ারি, বুধবার, নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআইতে হার্দিক পান্ডিয়ার উদ্ভট আউট প্রত্যক্ষ করার পর বর্ষীয়ান ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। থার্ড আম্পায়ার হার্দিক পান্ডিয়াকে আউট ঘোষণা করায় খেলার ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু ব্যক্তি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

Advertisement
Advertisement

অশ্বিন ও প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফর দুজনেই আউট হওয়ার ধরণ দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোচ্চার হয়েছিলেন। দুজনেরই যুক্তি ছিল যে সিদ্ধান্তটি নট আউট হওয়া উচিৎ ছিল কারণ বলটি স্টাম্পের উপরে রাখা বেলে আঘাত করেনি ববং নিউ জিল্যান্ডের উইকেটকিপার টম ল্যাথামের গ্লাভস বেলে লাগায় বেলের পতন হয়েছিল।

স্পষ্টভাবে নট আউট: হার্দিক পান্ডিয়ার আউট হওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন

মাইক্রো-ব্লগিং সাইট টুইটারে ৩৬ বছর বয়সী স্পিনার বলেছেন, “স্প্লিট স্ক্রিন এবং রিপ্লে সম্পর্কে ভুলে যান, শুবমান গিলের কাট শটটিই প্রমাণ করে কেন হার্দিক স্পষ্টভাবে নট আউট ছিল। #indvsnz।”

পান্ডিয়া আউট হওয়ার পরে শুবমান গিলের বিরুদ্ধে হিট উইকেটের আবেদন ছিল। তবে, রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায় যে ল্যাথামের গ্লাভস লেগে বেল পড়েছে এবং গিলকে তৃতীয় আম্পায়ার নট আউট বলে ঘোষণা করেছিলেন। ল্যাথামের উইকেটকিপিংএর এমন পদ্ধতি নিয়ে জাফর টুইটারে কিউয়ি অধিনায়কের সমালোচনা করেছিলেন।

ক্রিকেট অনুরাগীরা ও প্রাক্তন ক্রিকেটাররা থার্ড আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক হৈচৈ করেছিলেন। পান্ডিয়াকে যেভাবে আউট দেওয়া হয়েছিল তাতে জাফরকেও খুব একটা সন্তুষ্ট মনে হয়নি। হার্দিক ৩৮ বলে ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

ম্যাচের প্রসঙ্গে, ভারতের ওপেনার শুবমান তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওডিআইতে একাধিক রেকর্ড ভেঙে একটি দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। ২৩ বছর বয়সী ডান-হাতি ব্যাটার ১৪৯ বলে ২০৮ রান করে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলকে ৫০ ওভারের প্রতিযোগিতায় ৩৪৯-৮ স্কোরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। পঞ্চম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে গিল ওডিআই ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন। কনিষ্ঠতম পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে ওডিআই ডাবল সেঞ্চুরি করার রেকর্ডও গ্লের দখলে। ব্ল্যাকক্যাপসের বিরুদ্ধে তাঁর ২০৮ রানের ইনিংসে ছিল ১৯টি চার এবং ৯টি ছক্কা।