বিগত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে চলা আফগানিস্তানের লেগ-স্পিনার রশিদ খানকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন ভারতীয় দলের লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল। মাত্র ২৩ বছর বয়সে আফগানিস্তানের এই বিস্ময়কর প্রতিভা ইতিমধ্যেই ২৮৯ ম্যাচে ৪০০ টি-টোয়েন্টি উইকেটের মালিক। ডোয়েন ব্রাভো, সুনীল নারিন ও ইমরান তাহিরের পরে এই ফরম্যাটে সর্বকালের উইকেট সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনি চতুর্থ স্থানে আছে।
Advertisement
Advertisement
ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীনই রশিদ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটে পৌঁছনো সবচেয়ে দ্রুততম বোলার হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। ওডিআই এবং টেস্ট ক্রিকেট মিলিয়ে এই তরুণের মোট ১৩৪ উইকেট রয়েছে। তাঁর প্রশংসা করার সময় চাহাল কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন এবং মুত্তাইয়া মুরালিথরনের সাথে রশিদের তুলনা করেন।
“রশিদ খান ভিন্ন উচ্চতার বোলার। আমি বিশ্বাস করি যে তিনি বাকিদের থেকে অনেক উপরে, যেমন উচ্চমান আমরা মুরালিথরন স্যার বা শেন ওয়ার্ন স্যারের মধ্যে দেখতাম। আমি নির্ভর করি মগজের উপর। আমি অভিনব বৈচিত্র্যের চেষ্টা করি না। আমার যা কিছু বৈচিত্র্য আছে আমি তা নিয়েই চেষ্টা করি,” যুজবেন্দ্র চাহাল টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন।
যুজবেন্দ্র চাহাল বলেছেন, আমার সত্যিই খারাপ লাগছিল
চাহাল গত কয়েক বছরে ভারতের বোলিং আক্রমণের অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠেছেন, বিশেষ করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। রাহুল চাহার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা এবং বরুণ চক্রবর্তীকে স্পিন-বোলিং বিকল্প হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
দল থেকে বাদ পড়ায় চাহাল প্রভাবিত হয়েছিলেন, কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত না হয়ে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে তিনি তাঁর সেরাটা দেওয়ার দিকে মন দিয়েছিলেন। কঠিন সময়ে তাঁর পাশে থাকার জন্য অভিজ্ঞ স্পিনার তাঁর পরিবার এবং স্ত্রী ধনশ্রী ভার্মাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
“আমি চার বছরে একবারও বাদ পড়িনি এবং তারপরে আমি এমন একটি বড় ইভেন্টের জন্য বাদ পড়েছিলাম। আমার সত্যিই খারাপ লাগছিল। দুই-তিন দিন খুব হতাশ ছিলাম। কিন্তু তারপরে ভাবলাম আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব আসতে চলেছে, আমার সেই নিয়ে ভাবা উচিত,” তিনি বলেছেন।
“আমি আমার কোচদের কাছে ফিরে গিয়েছিলাম এবং তাদের সাথে অনেক কথা বলেছিলাম। আমার স্ত্রী ও পরিবার আমাকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ দিয়ে আসছিল। আমার ভক্তরা অনুপ্রেরণামূলক পোস্ট করতে থাকে। তারাই আমাকে উজ্জীবিত করে। আমি আমার শক্তিশালী দিক নিয়ে কাজ করা কথা ভেবে গিয়েছি। আমি বেশিক্ষণ ক্ষোভ পুষে রাখিনি কারণ সেটা আমার আইপিএল ফর্মকে প্রভাবিত করতো,” চাহাল যোগ করেছেন।