দলগত লড়াইয়ের প্রশংসা কামিন্সের মুখে
আপডেট করা - Mar 11, 2024 1:00 pm
প্যাট কামিন্স অস্ট্রেলিয়া দলের বিভিন্ন খেলোয়াড়দের একক দক্ষতার প্রশংসা করেছেন। তারা নিউজিল্যান্ডে বিরুদ্ধে একটি অসাধারণ টেস্ট রান তাড়া করে জিতে নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কিউইদের ঘরের মাঠে ক্যাঙারু বাহিনী ২-০ সিরিজ জিতলো। তৃতীয় দিনের শেষে ২৭৯ রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ৩৪ রানে তারা ৪ উইকেট হারায়। এই পরিস্থিতিতে ট্রাভিস হেড দলের কিছুটা হাল ধরলেও চতুর্থ দিনের সকালে তিনিও আউট হয়ে যান। দলের স্কোর দাঁড়ায় ৮০ রানে ৫ উইকেট। যাই হোক, এই পরিস্থিতিতে ছোট ছোট করে ইনিংস তৈরী করেন মিচেল মার্শ। অন্যদিকে তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন অ্যালেক্স ক্যারি। দুজনেই চাপ সামলে দলের জন্য স্কোরবোর্ডকে সচল রাখেন। তারা ২৯ ওভারে ১৪০ রানের লম্বা জুটি গড়ে তোলে। ক্যারি শেষপর্যন্ত ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন। বেন সিয়ার্স দুই বলে দুই উইকেট নিলেও বিশেষ লাভ করতে পারেননি।
কামিন্স ম্যাচ শেষে এই লড়াইয়ের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘মনে করুন এই সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ সময় দলের হয়ে কেউ না কেউ দাঁড়িয়েছে। কারোরই প্রয়োজন ছিল না পুরো খেলায় দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেওয়ার। শুধু গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতির বিচারে একেক জন দলের স্বার্থে কাজ করে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি তাদেরকে ম্যাচ উইনারের ভূমিকায় অবতীর্ণ করেছে।’ তিনি নিজেও ৩২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি আরো যোগ করেন, ‘আমরা জেতার পথ খুঁজে গেছি। গোটা দলটিই খুব ভালো খেলেছে।’ তিনি আলাদা করে মার্শ ও ক্যারির ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেন।
কামিন্স বলেন, ‘মিচেল মার্শ ও ক্যারি যেভাবে দলের হাল ধরেছিল, তাতেই নিউজিল্যান্ড খানিক বিপর্যস্ত হয়ে যায়। প্রতিটা বোলারের উপর ওরা চাপ ফিরিয়ে দিয়েছিল। নতুন বলেও বিশেষ দাগ কাটতে পারছিল না নিউজিল্যান্ডের বোলাররা।’
কামিন্স সবসময় স্কোরবোর্ড সচল রাখার বিষয়ে জোর দিয়ে এসেছেন। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ অনেক সময়ই পরিস্থিতি আমাদের প্রতিকূল ছিল। কিন্তু সব সময় আমরা স্কোরবোর্ডটিকে সচল রাখার চেষ্টা করেছি। যার ফলে আমরা সব সময় ম্যাচের মধ্যে ছিলাম এবং হারিয়ে যায়নি।’ এছাড়াও রান রেটের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ আজকে মূল লক্ষ্য ছিল রান রেট বাড়িয়ে যাওয়া ও একটু একটু করে লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছানোর চেষ্টা করা।’ স্বাভাবিকভাবেই দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া সফল। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের মুকুটে একটি একটি করে পালকের সংখ্যা যে বেড়ে চলেছে, একথা বলাই যায়।