কামিন্সের মধ্যে কিংবদন্তি ডেনিস লিলির ছায়া দেখতে পাচ্ছেন ইয়ান চ্যাপেল

Pat Cummins
Pat Cummins. (Photo Source: Twitter)

২০২৩ সালে প্যাট কামিন্স সাফল্যের সমস্ত শিখরই স্পর্শ করেছেন। কামিন্সের এহেন সাফল্যে গর্বিত অস্ট্রেলিয়ার তারকা ইয়ান চ্যাপেল। শুধু তাই নয় প্রাক্তন অজি তারকা কামিন্সের মধ্যে কিংবদন্তি ডেনিস লিলির ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, লিলিও ছিলেন বড় মনের মানুষ যে মাঠে নেমে গোটা দলকে চাঙ্গা করে দেয়ার ক্ষমতা রাখতেন। অসাধারণ বোলিং এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয় ক্রিকেটের ২২ গজে আগুন ঝরাতেন ডেনিস লিলি। নিজের কলামে চ্যাপেল লেখেন, ‘কামিন্সকে দেখে আমার মনে পড়ে যাচ্ছে এই ডেনিস লিলির কথা। যে শুধুমাত্র বড় মনের মানুষই ছিল না, পাশাপাশি অনবদ্য বোলিং করে ২২ গজ এ আগুন ঝরানোর ক্ষমতা রাখতো ও সতীর্থদের সর্বদা অনুপ্রাণিত করতো ভালো কিছুর জন্য।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ মাঠে নেমে লিলির একমাত্র লক্ষ্য থাকতো বিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানদের আউট করা। ও বলতো, জোরে বোলিং টা শুধুমাত্র শারীরিক শক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, তার মধ্যে অন্তর্নিহিত রয়েছে মানসিক ধকল।’ চ্যাপেল বর্তমান অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের মধ্যেও তা দেখতে পাচ্ছেন।

প্রাক্তন অস্ট্রেলিয় তারকা আরো বলেন, ‘ নিজের বোলিং মার্কে পৌঁছে লিলি যেন দেখতে পেত, বল প্রতিপক্ষের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উড়ে যাচ্ছে রডনি মার্শের দস্তানায়। বলটা যদি সেক্ষেত্রে মার্চের মাথার উচ্চ তাতেও পৌঁছে তাহলেও সেটা ওর হাতের দস্তানা ছেড়ে বেরোতে পারবে না।’ বক্সিং ডে টেস্টের সবুজ গালিচা বিছানো মেলবোর্নে কামিন্সের মধ্যেও লিলির সেই ছায়া দেখতে পেয়েছেন চ্যাপেল।

তিনি লিখেছেন, যে অনবদ্য ডেলিভারি সম্পন্ন করে কামিন্স পরাস্ত করে দিল পাকিস্তান দলের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে, তাতে তিনি মুগ্ধ। ‘সেই মুহূর্তেই কামিন্সকে দেখে আমার লিলির কথা মনে পড়েছিল।’

১৯৭২সালের ওভাল টেস্টের প্রসঙ্গও চ্যাপেল টেনে আনেন তাঁর কলামে। তিনি লেখেন, ‘ ওভালে ১৯৭২ সালের সেই টেস্টে অপ্রতিরোধ্য দৃঢ়তা নিয়ে ব্যাটিং করে যাচ্ছিল অ্যালান নট। আমরা ওর ব্যাটিংয়ের ভুসি প্রশংসা করলেও লিলি গজ গজ করতে করতে বলে গিয়েছিল আর ওকে বেশি রান করার সুযোগ দেয়া যাবে না। ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাওয়া সেই ম্যাচ থেকে ৬৩ রানে খেলতে থাকা নটকে ফিরিয়ে দিয়ে লিলিই আমাদের ঐতিহাসিক জয় উপহার দেয়।’

চ্যাপেল যোগ করেন, ‘ মেলবোর্ন এ লিলির সেই মনোভাবই হয়তো দীক্ষিত হয়েছিলেন কামিন্স। সেরা ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে এরকম বোলিং দেখতেই ভালো লাগে।’ লিলি ও কামিন্স কে এক ব্রাকেটে ফেলে চ্যাপেল উল্লেখ করেন, এই দুই বোলার যেমন যে কোন অধিনায়কের সেরা সম্পদ, তেমনই প্রতিপক্ষের কাছে সাক্ষাৎ দুঃস্বপ্ন।