পাকিস্তানি ওপেনারদের দাপটে দিনের শেষে পাকিস্তান এগিয়ে

চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বোলাররা একেবারেই ছাপ ফেলতে ব্যর্থ

Abid Ali and Abdullah Shafique
Abid Ali and Abdullah Shafique. (Photo by MUNIR UZ ZAMAN/AFP via Getty Images)

শনিবার (২৭ নভেম্বর) ২য় দিনে বাংলাদেশ ৩৩০ রানে অলআউট হওয়ার পর আবিদ আলী এবং অভিষেককারী আব্দুল্লাহ শফিক প্রায় দুই সেশন ব্যাট করে পাকিস্তানকে বিনা উইকেটে ১৪৫ রানে পৌঁছে দিয়েছে। দিনের শুরুতে বাংলাদেশ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখলেও দিনের শেষে পাকিস্তান এগিয়ে তাদের ওপেনারদের জন্য। 

লিটন দাস আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে খুব বেশি রান যোগ করতে পারেননি। দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই হাসান আলি ভালো ছন্দে ছিলেন। তাঁর জোড়া আঘাতে লিটন ও অভিষেক ম্যাচে নামা ইয়াসির আলি তাড়াতাড়ি প্যাভিল্যনের পথ ধরেন। যদিও মূল আঘাত হানেন ফাহিম আশরাফ। তিনি মুশফিকুর রহিমকে ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠান, সেঞ্চুরি থেকে রহিম তখন মাত্র ৯ রান দূরে।  

হাসান, আবিদ ও শফিকের দাপটে দিনের শেষে পাকিস্তান এগিয়ে

রহিমের বিদায়ের পর বাংলাদেশের বাকী টেল এন্ডাররা বিশেষ কিছু না করতে পারলেও মেহিদি হাসান এক প্রান্ত ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। এই স্পিনিং অলরাউন্ডার ৩৮ রানে নট আউট থাকেন। দিনের সেরা বোলার হাসান আলি নতুন বোলিং স্পেলে ফিরে এসে শেষ দুটি উইকেট তুলে নেন। শেষ উইকেটটি নিয়ে হাসান আলি একটি ফাইভ-ফার তোলেন (৫/৫১)। দিনের শুরুতে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৫৩ রান থেকে ৩৩০ রানে গুটিয়ে যায়। 

পাকিস্তানের ওপেনাররা দুরন্ত ছন্দে শুরু করে এবং নিশ্চিত করে যে কোন উইকেট ছাড়াই তারা ড্রেসিংরুমে ফেরে। অভিষেক হওয়া আবদুল্লাহ শফিক কিছুটা চাপে পড়েছিলেন এবং এলবিডব্লিউর আবেদন উঠলেও বেঁচে যান। বাংলাদেশ রিভিউয়ের জন্য বেছে নেয়নি এবং সেই কারণে তারা অনুতপ্ত হবে। এরপর অর্ধেক সুযোগও তৈরি হয়নি কারণ ওপেনাররা স্পিন এবং সীম উভয়কেই পারদর্শিতার সঙ্গে সামলেছিলেন।   

বাংলাদেশের পেসাররা নতুন বলে শুরু করলেও তেমন একটা ছাপ ফেলেনি। তাইজুল সেই মাঝে মাঝে ভালো বল তৈরি করেছিলেন এবং তা শক্ত করে রেখেছিলেন কিন্তু পাকিস্তান ওপেনাররা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। শালীন গতিতে রান আসায় মেহেদি যথেষ্ট চাপ তৈরি করতে পারেননি। 

অন্যদিকে, আবিদ আলি তাঁর নিজের গতিতে রান সংগ্রহ করতে থাকেন এবং দিন শেষে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৭ রান দূরে দাঁড়িয়ে। ইনিংস এগোতে এগোতে আবদুল্লাহও তাঁর বাধা ত্যাগ করেন এবং একটি ছক্কায় তাঁর প্রথম টেস্ট হাফ সেঞ্চুরি পান।  

বাংলাদেশ তৃতীয় দিনে দ্রুত প্রথম উইকেট তুলে নিতে চায়বে কারণ এই পাকিস্তান লাইন আপে দক্ষতার পাশাপাশি গভীরতাও আছে। উইকেট এখনও খেলার জন্য ভালো এবং তৃতীয় দিনেও রান তোলার জন্য ভালো হওয়া উচিত।