প্রথম দিনের শেষে পাকিস্তানের পারফরমেন্সে হাসান আলী যথেষ্টই আশাবাদী

Source: Twitter

হাসান আলীকে এইদিন পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী দেখিয়েছে। ডেভিড ওয়ার্নারও এদিন পাকিস্তান বোলিং আক্রমণের ভূয়সী প্রশংসা করে, তাঁদের অ্যাট্যাককে ‘অবিশ্বাস্য চ্যানেলের’ আখ্যা দেন।

স্কোরবোর্ড পাকিস্তানের জন্য খুব একটা আশাব্যঞ্জক নাহলেও, পাকিস্তানের অন্যতম জোরে বোলার হাসান আলী সর্বদা দলের ইতিবাচক দিকটি নিয়েই আগ্রহী। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে পাকিস্তানের অসাধারণ সুইংয়ের প্রদর্শনী লক্ষ্য করা যায়। যদিও বেশ কয়েকবার সুযোগ আসা সত্ত্বেও ৬৬ ওভারে মাত্র তিন উইকেট তুলতে পাকিস্তানকে যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া বেটারদের যথেষ্ট নড়বড়ে দেখালেও ১৮৭রানে ৩উইকেট কখনোই পাকিস্তানের জন্য ভালো স্কোর নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত যেখানে পাকিস্তান টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে পাঠায়।

হাসান যদিও প্রথম দিনের শেষে মনে করেন, পাকিস্তান শৃঙ্খলা ধরে রাখলে এখনো ম্যাচে ফিরে আসতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করার ক্ষমতা তাঁদের হাতেই রয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, ‘ বোলিং ইউনিটের কাছে দিনটি যথেষ্টই ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবু আমাদের ব্যর্থতা যে পর্যাপ্ত উইকেট নিতে পারিনি। আমরা আগামীকালের জন্য অপেক্ষা করছি। আশা করছি আমরা সমস্তরকম সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে সক্ষম হবো।’

পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ কার্যকর ভাবেই হাসানসহ দলের অন্যান্য ফাস্ট বোলারদের উপর ভরসা রেখেছেন। টেস্ট স্কোয়াডের প্রথম একাদশ নির্বাচনের সময় পাকিস্তান দল তাদের একমাত্র স্পেশালিস্ট স্পিনার সাজিদ খানকে শুরুর একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। টসে জিতেও বোলিং বেছে নিয়ে তারা মূলত আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উপর আগ্রাসী আক্রমণ শানাতে চেয়েছিল। এদিন বাতাসে সহায়ক অবস্থার কারণে বলেও বেশ ভালো সিম মুভমেন্ট লক্ষ্য করা যায়, যা যেকোনো দলের বোলারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। লাঞ্চের পরে হাসানসহ পাকিস্তানের সমগ্র পেস এট্যাক তীব্রতাকে কাজে লাগিয়ে কৌশলগতভাবে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে। স্বাভাবিকভাবেই অস্ট্রেলিয়ার রান রেট কিছুটা হলেও কমে যায়। প্রতিটি অজি ব্যাটসম্যান অসুবিধায় পড়লেও একমাত্র উসমান খোয়াজাকে প্রথম থেকেই যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্য লাগছিল। কিন্তু তিনিও হাসানের একটি বলে হাত খুলতে চাইলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বসেন।

যদিও ক্যাচ মিস নিয়ে হাসানের আক্ষেপ যাচ্ছে না। তিনি মনে করেন প্রতিটি সুযোগকে দল কাজে লাগাতে পারলে প্রথম দিনের শেষে আরো স্বস্তিজনক স্কোরে পাকিস্তান অবস্থান করতো।