ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩: বাঁ-হাতি সিমারদের সামলানোর জন্য একজন ভারতীয় সাইডআর্ম বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করল ইংল্যান্ড

Saurabh Ambatkar
Saurabh Ambatkar. (Photo Source: Twitter)

ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর জন্য ভারতীয় সাইডআর্ম বিশেষজ্ঞ সৌরভ আম্বতকরকে নিয়োগ করল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ৫ই অক্টোবর, বৃহস্পতিবার থেকে ওডিআই বিশ্বকাপ শুরু হতে চলেছে। এই টুর্নামেন্টে বাঁ-হাতি সিমারদের বিরুদ্ধে যাতে অসুবিধায় পড়তে না হয় তার জন্য সৌরভকে নিয়োগ করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ৩০শে সেপ্টেম্বর, শনিবার, ভারতের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। তবে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ভেস্তে গিয়েছিল। এই ম্যাচটির আগে গুয়াহাটিতে ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন সৌরভ।

উল্লেখযোগ্যভাবে, আধুনিক দিনের ক্রিকেটে সাইডআর্ম বিশেষজ্ঞদের সংখ্যা বেড়েছে। এই বিশেষজ্ঞরা ব্যাটারদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করতে সাহায্য করে। সৌরভ আম্বতকর এর আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাথে কাজ করেছিলেন। ইংল্যান্ড দল তার কাছ থেকে সাহায্য পেয়ে কতটা উন্নতি করতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বর্তমানে, ইংল্যান্ডের চারজন কোচই ডানহাতি। তাই তারা একজন বাঁ-হাতি বিশেষজ্ঞকে খুঁজছিলেন এবং শেষমেশ তারা সৌরভ আম্বতকরকে নিয়োগ করেন। সৌরভ যে এই ভূমিকার জন্য পুরোপুরি ফিট সেই ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিনি কেকেআরে ইংল্যান্ডের ম্যানেজার ওয়েন্ট বেন্টলির সাথে কাজ করেছিলেন।

সৌরভ আম্বতকর বাদেও একজন স্থানীয় ম্যাসাজ থেরাপিস্টকে নিয়োগ করেছে ইংল্যান্ড। মহেশ আর্য তাদের মেডিকেল টিমে যোগ দেবেন এবং পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে জস বাটলারের নেতৃত্বাধীন দলের সঙ্গে থাকবেন। মার্ক স্যাক্সবি, অ্যান্ডি মিচেল, ফিজিও ক্রেইগ ডি ওয়েমার্ন এবং দলের ডাক্তার রব ইয়ংকে সাহায্য করবেন।

ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড

ওডিআই বিশ্বকাপ ২০১৯-এর ফাইনালে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ড একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। এইবারের বিশ্বকাপ তাদের মধ্যে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে। ইংল্যান্ডের থেকে গত বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের বদলা নিউজিল্যান্ড নিতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ম্যাচের প্ৰথম ইনিংস চলাকালীন বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল এবং ওভার কমে ৩৭ হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশ প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৯ উইকেটে ১৮৮ রান তুলেছিল। রিস টপলি ৩টি উইকেট শিকার করেছিলেন। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতির কারণে ইংল্যান্ডের সামনে রানের লক্ষ্য ১৯৭-তে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। জস বাটলারের নেতৃত্বাধীন দল ২৪.১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৭ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল। মইন আলি ৩৯ বলে ৫৬ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন।