১০০তম টেস্ট ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করলেন উইলিয়ামসন ও সাউদি

Williamson and Southee 100th Test Match (Photo Source: Getty Images)

নিউজিল্যান্ডের অন্যতম তারকা ব্যাটসম্যান কেন উইলিয়ামসন এবং ডানহাতি ফাস্ট বোলার টিম সাউদি শুক্রবার ঘরের মাঠে তাঁদের ১০০তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। নিউজিল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় টেস্ট রান স্কোরার ও এই ফরম্যাটে তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হ্যাগলি ওভালে তাঁদের পরিবার নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। তাঁরা দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট ম্যাচের মাইল ফলক স্পর্শকারী পঞ্চম ও ষষ্ঠ খেলোয়াড়।

অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও এদিন তাঁদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ‘ এটি একটি বিশাল কৃতিত্ব। নিজের ফর্মকে ১২ বছর বা তার বেশি সময় ধরে রাখা একদমই মুখের কথা নয়। আজকের যুগে দাঁড়িয়ে যেখানে প্রতি মুহূর্ত নতুন ছেলেরা খুব ভালো খেলছে, সেইসময় এহেন ১০০ টেস্ট ম্যাচের কীর্তি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’ তিনি সাউদির প্রশংসা করে বলেন, ‘সে সবসময় তার খেলার মান ধরে রাখে ও শীর্ষে রাখার চেষ্টা করে।’ তিনি কেন উইলিয়ামসন প্রসঙ্গেও বলেন, ‘কেনের বিপক্ষে খেলাটা সবসময়ই দুর্দান্ত ছিল। ফরম্যাট যাই হোক না কেন তাকে সব সময় মূল্যবান উইকেট বলে মনে করে কেন। আশা করি এই সপ্তাহেও তার কিছু নমুনা আমরা দেখতে পাবো।’

এছাড়াও প্যাট কামিন্সের সপ্রতিভ ঘোষণা, ‘ওরা দুজনেই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের দুই গ্রেট।’

টেস্টে উইলিয়ামসনের ৮৬৭৫ রান রয়েছে। তিনি এই মুহূর্তে কিউই ক্রিকেটের আরেক কিংবদন্তি রস টেলরের চেয়েও কিছুটা এগিয়ে। নিউজিল্যান্ডের জন্য পরবর্তী সেরা এবং তার প্রতিটা ফরম্যাটে গড় ৫৫.২৫। উইলিয়ামসনের মতো ৩২র চেয়েও বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি অন্য কোনো সক্রিয় খেলোয়াড়ের এইমুহূর্তে নেই। অন্যদিকে বোলিং কিংবদন্তী সাউদির পরিসংখ্যানের পাল্লাও বেশ ভারী। সাউদির ঝুলিতে রয়েছে ৩৭৮টি টেস্ট উইকেট। তাঁর সামনে এই মুহূর্তে রয়েছে একমাত্র কিউই বোলার রিচার্ড হ্যাডলি, যার ঝুলিতে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেট। সাউদি এইমুহূর্তে রিচার্ড হ্যাডলির চেয়ে মাত্র ৫০টি উইকেট পিছিয়ে। এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ২০০৮ সালে আইসিসি পুরুষদের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দলের সদস্য ছিলেন। যেখানে তারা সেমিফাইনালে পরাজিত হয় সেই বছরের চ্যাম্পিয়ন বিরাট কোহলির ভারতের কাছে। তার কিছু বছরের মধ্যেই টিম সাউদির আন্তর্জাতিক অভিষেক সম্পন্ন হয়ে যায়। ও তার এক বছরের মধ্যেই টেস্ট অভিষেক। অন্যদিকে টেস্ট অভিষেকের জন্য ২০১০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে তিনি নিজের গুরুত্ব দলে প্রমাণ করে এসেছেন। দীর্ঘদিন সামলেছেন দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্বও। এই মুহূর্তে তিনি একজন কিউই কিংবদন্তের তালিকায় নিজের নাম নথিভুক্ত করেছেন। আজকে এই বিশেষ দিনে দুই ক্রিকেটারকেই সপরিবারে মাঠে আসতে দেখা যায়।