ধোনি যে ধরনের উত্তরাধিকার রেখে যাচ্ছে তা কেউ ছুঁতে পারবে না: রবি শাস্ত্রী

আইপিএল ফাইনালে ধোনি তাঁর ২৫০তম আইপিএল ম্যাচ খেলেছিলেন

MS Dhoni
MS Dhoni. (Photo Source: IPL/BCCI)

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৩-এর ফাইনালে গুজরাত টাইটান্স (জিটি)-কে হারিয়ে চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে শেষ বলে জয় অর্জন করে, চেন্নাই তাদের পঞ্চম আইপিএল শিরোপা জিতেছে। ফাইনালে অধিনায়ক এমএস ধোনি গোল্ডেন ডাকে আউট হলেও, পুরো মরসুম জুড়ে ৪১ বছর বয়সী তাঁর অধিনায়কত্বর কারণে এই শিরোপা জয়ে একটি বড় ভূমিকা রেখেছিলেন।

ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে ২০০৮ সালে কেনার পর থেকেই, গত মরসুমের শুরুর দিকের কিছু ম্যাচ বাদে, চেন্নাইয়ের স্থায়ী অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ধোনি। চেন্নাইয়ের জেতা পাঁচটি আইপিএল শিরোপাই এসেছে তাঁর নেতৃত্বে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে হলুদ জার্সির ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ধোনি বিশাল প্রভাব ফেলেছেন এবং বিশাল উত্তরাধিকার রেখে যাবেন।

এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার রবি শাস্ত্রী মতামত দিয়েছেন যে ২৫০টি আইপিএল ম্যাচ খেলা ধোনির ফিটনেসের প্রমাণ, এবং চেন্নাই ভক্তদের কাছ থেকে তিনি যে পরিমাণ ভালোবাসা পান, সেটাই তাঁর মহত্ত্বের উদাহরণ।

“২৫০টি আইপিএল ম্যাচ হল এমএস ধোনির ফিটনেসের প্রমাণ। এই টুর্নামেন্টে ধোনি যে ধরনের উত্তরাধিকার রেখে যাচ্ছে তা কেউ ছুঁতে পারবে না। চেন্নাই ও তামিল নাড়ু জুড়ে তাকে ‘থালা’ বলা হয়। ঝাড়খণ্ডের একজন দক্ষিণ ভারতে সিএসকের সমর্থকদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা এবং প্রশংসা পায়, তা এই ক্রিকেটারের মহত্ত্বের সাক্ষ্য,” রবি শাস্ত্রী স্টার স্পোর্টসকে বলেছেন।

গুজরাত টাইটান্সকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস

ম্যাচের প্রসঙ্গে, টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল গুজরাত। শুবমান গিল, ঋদ্ধিমান সাহা ও সাই সুধারসান প্রথম ইনিংসের সেরা পারফর্মার ছিলেন এবং গুজরাতকে ২১৪/৪ রানের বিশাল স্কোরে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন তাঁরা। গিল ২০ বলে ৩৯ রান, সাহা ৩৯ বলে ৫৪ রান এবং সুধারসান ৪৭ বলে ৯৬ রান করেছিলেন।

বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে সুপার কিংসের জন্য লক্ষ্য ছিল ১৫ ওভারে ১৭১ রান। ডেভন কনওয়ে ব্যাট হাতে ২৫ বলে ৪৭ রান করে সিএসকের সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক ছিলেন। শেষ বলে চার মেরে রবীন্দ্র জাডেজা দুর্দান্ত জয় এনে দেন সিএসকেকে।