লায়নের হুঙ্কার গাব্বায়, উদ্বোধনী অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়া জিতল নয় উইকেটে

ইংল্যান্ডের শেষ আট উইকেট পড়ল মাত্র ৭৪ রানে

Marcus Harris and Marnus Labuschagne
Marcus Harris and Marnus Labuschagne. (Photo by Albert Perez – CA/Cricket Australia via Getty Images)

প্রথম অ্যাশেজ টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলার শেষ দুই সেশনে জো রুট ও ডাউইড মালান যে প্রতিরোধ দেখিয়েছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল ম্যাচ জেতার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে চতুর্থ দিনেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। যদিও চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে অস্ট্রেলিয়াকে যে রূপে দেখা গেল তাতে দেখে মনে হল না আগের দিন তাদের বোলারদের এতোটা সংগ্রাম করতে হয়েছিল। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন-আপকে দেখা গেল সেই চেনা রূপে। আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার তারা। শেষ পর্যন্ত, প্যাট কামিন্স ও তাঁর সতীর্থরা ব্রিসবেনের দ্য গাব্বাতে নয় উইকেটে জয় নিশ্চিত করেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তারা সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।  

মালান এবং রুট ব্রিটিশদের কিছুটা আশা দিয়েছিলেন। চতুর্থ দিনের শুরুতে ইংল্যান্ড আশা করেছিল এই দুজন এবং ইংল্যান্ডের মিডল ও লোয়ার অর্ডারের উপ ভর করে অস্ট্রেলিয়ার সামনে একটি সম্মানজনক লক্ষ্য খাড়া করতে পারবে। দিনের শুরুতে ইংল্যান্ড পিছিয়ে ছিল ৫৮ রানে। তৃতীয় উইকেটে রুট ও মালানের পার্টনারশিপ অপরাজিত ১৫৯ রানে পৌঁছিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা ৪র্থ দিনে এই পার্টনারশিপকে বেশী দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। দুই সেট হয়ে যাওয়া ব্যাটার খেলা শুরু হওয়ার ৩৭ বলোরমধ্যেই পরপর আউট হন। 

এদিন সকালে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান ঘাতক বোলার নাথান লায়ন। তাঁর একটি বল মালানের ব্যাট-প্যাডে লেগে ল্যাবুশেনের হাতে জমা হয়। মালানের সাড়ে চার ঘণ্টার উপর চলা ইনিংসের সমাপ্তি হয় ৮২ রানে। তিন ওভারের মধ্যেই রুটের উইকেট তুলে নেন ক্যামেরন গ্রিন। প্রথম ইনিংসে নয় বলে শূন্যের পর, ইংলিশ  অধিনায়ককে এই ইনিগসে ছন্দে দেখিয়েছিল। ১০টি চারের সাহায্যে তাঁর সংগ্রহ ৮৯। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাঁর সেঞ্চুরি করার প্রতীক্ষা দীর্ঘায়িত হল। 

ইংল্যান্ড ব্যাটিং লাইন-আপকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর নয় উইকেটে সহজেই জয় অর্জন করল অজিরা

ইংল্যান্ড তাদের শেষ আট উইকেট হারিয়েছে ৭৪ রানে। জস বাটলার প্রথম ইনিংসের মতোই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে শুরু করলেও ২৩ রান করেই ফাস্ট বোলার জশ হ্যাজেলউডের বলে কট বিহাইন্ড হন। ক্রিস ওকস ১৬ রানে আউট হন। গ্রিনের দ্বিতীয় শিকার তিনি

তবে দিনের সেরা বোলার নাথা লায়ন। মালানকে আউট করে নিজের ৪০০তম টেস্ট উইকেটে পৌঁছন তিনি। এছাড়া অলি পোপ, অলি রবিনসন এবং মার্ক উডও এই অফ স্পিনারের শিকারের তালিকায়। বেন স্টোকস দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ। অধিনায়ক কামিন্স তাঁকে ১৪ রানে ফেরান।

দুই উইকেটে ২২৩ থেকে ইংল্যান্ড এক সেশনেই আট উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রানে গুটিয়ে যায়। সেখান থেকে ২০ রানের লক্ষ্য তাড়া করা ছিল অজিদের কাছে নিছক আনুষ্ঠানিকতা। ওয়ার্নার চোট পাওয়ায় অ্যালেক্স ক্যারি নেমেছিলেন ওপেন করতে মার্কাস হ্যারিসের সঙ্গে। রবিনসন ক্যারিকে আউট করলেও মাত্র ৫.১ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।