সাহসের সাথে খেলতে চান বিশ্বকাপে, জানালেন নবনিযুক্ত অধিনায়ক মহম্মদ নবি

টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই অভিযান শুরু করছেন তাঁরা

Mohammad Nabi
Mohammad Nabi. (Photo credit should read SAEED KHAN/AFP via Getty Images)

দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে আফগানিস্তান ক্রিকেট এখন অনিশ্চয়তায় ভুগছে। তালিবানরা দেশ দখল নেওয়ার পর এরকম কথাও শোনাও গিয়েছিল যে আফগানিস্তান পুরুষ দলকে টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে কারণ তাদের দেশে নারীদের ক্রিকেট খেলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর আরো টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরী হয় যখন তাদের তারকা স্পিনার রশিদ খান দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়ান এবং মহম্মদ নবিকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সমস্যা এখানেই শেষ হয় না। ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে ক্রিকেটারদের বিদেশে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে জটিলতা তৈরী হয়। সব সমস্যা পিছনে রেখে এসে এখন বিশ্বকাপে নামতে তৈরী হচ্ছে আফগানরা। নবি জানিয়েছেন সমস্ত রাজনৈতিক অস্থিরতাকে বাদ দিয়ে দলটি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আফগানিস্তান ২০১৮-১৯শে টানা ১২টি ম্যাচ জিতেছে যা যেকোনো দলের কাছেই রেকর্ড। দলটির সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোর ২৭৮/৩, যেটিও একটি বিশ্বরেকর্ড। এই রেকর্ড তারা ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেরাদুনে করেছিল।

আফগানিস্তানের ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই তাঁর মারকুটে ব্যাটিং কীর্তির জন্য পরিচিত। অ্যারন ফিঞ্চের ১৭২ রানের পর তাঁর ১৬২ নট আউটের ইনিংসটিই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ওই ইনিংসে তিনি ১৬টি ছক্কাও মারেন।

নবি বলছিলেন কীভাবে তাঁরা টূর্নামেন্টটিকে দেখছেন এবং বলেছিলেন যে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি হবে সর্বদা সাহসের সাথে খেলা। টূর্নামেন্টের জন্য দলের অধিনায়কত্ব নিয়েও তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। রশিদ খানের সাথে নবি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছিলেন এবং আইপিএলের জন্য অনেক দিন আগে থেকেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেই আছেন।

অধিনায়ক হিসেবে খেলতে পেরে আমি সত্যিই উত্তেজিত: মহম্মদ নবি 

অধিনায়ক বলেন, “আমাদের দল শক্তিশালী, গত দেড় মাস ধরে সতীর্থরা প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভিসা নিয়ে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল, তাই তারা আরব আমিরশাহীতে তাড়াতাড়ি পৌঁছায়নি। তারা কাতারে অনুশীলন করছিল। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার একজন দুর্দান্ত কোচ এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য একজন ভালো পরামর্শদাতা। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর পিচ সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন।”

নবি এই বলে শেষ জরেন, “সর্বদা সাহসের সাথে খেলব এটাই আমাদের মানসিকতা। বোলিং আমাদের শক্তি, সেটা ফাস্ট বোলিংই হোক বা স্পিন বোলিং। হ্যাঁ, অধিনায়কত্ব একটি কঠিন কাজ কিন্তু আমি বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার এবং টুর্নামেন্টে ভালো পারফর্ম করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। এই ইভেন্টে অধিনায়ক হিসেবে খেলতে পেরে আমি সত্যিই উত্তেজিত।”

২৫শে অক্টোবর শারজায় সুপার ১২তে আফগানিস্তান নামছে প্রথম রাউন্ডের বি গ্রুপের জয়ীর বিরুদ্ধে।