শুরুতেই ধাক্কা মুম্বাইয়ের, প্রশ্ন উঠে গেল হার্দিকের অধিনায়কত্ব নিয়ে

Hardik and Rohit (Source: X)

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়কত্বে অভিষেক হয়ে গেল হার্দিক পান্ডিয়ার। যদিও অভিজ্ঞতা একেবারেই সুখকর নয়। প্রথম ম্যাচে পরাজয় দিয়েই যাত্রা শুরু হলো এই অলরাউন্ডারের। যে ম্যাচের রাশটা যৌথ দক্ষতায় নিজেদের দখলে নিয়ে এসেছিলেন রোহিত শর্মা, ডেওয়াল্ড ব্রেভিসরা, সেই ম্যাচেই শেষ পর্যন্ত পরাজিত হতে দেখা গেল মুম্বাইকে। গুজরাট টাইটান্সের করা ১৬৮ রানের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ মুম্বাই। জবাবে তারা শেষ করলো ১৬২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে। টি-টোয়েন্টির বিচারে তুলনামূলক কম লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও ব্যর্থতায় উঠে গেল বেশ কিছু প্রশ্ন। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের পিচে এই রানটা এমন কিছু আহামরি নয় বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিকভাবেই পরবর্তী প্রশ্ন উঠলো হার্দিকের অধিনায়কত্ব নিয়ে।

এছাড়াও শুরুতেই ওপেনিংয়ে নেমে হতাশ করলেন হালেফিলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া ঈশান কিষাণ। তিনি শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন।

তবে প্রাক্তন অধিনায়ক রোহিত আর ব্রেভিস ব্যাট করতে নামলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হচ্ছিলো চিরাচরিত ভঙ্গিতে জেতার লক্ষ্যেই নেমেছে মুম্বাই। ৫৫ বল খেলে স্কোরবোর্ডে ৭৭ রান যোগ করেন দুজনে। রোহিত যখন ২৯ বলে ৪৩ করে আউট হন, তখন দলের স্কোর ১২.১ ওভারে ১০৭। পরবর্তীতে শেষ ৬ ওভারে ৪৮ রান প্রয়োজন ছিল মুম্বাইয়ের। হাতে তখনও উপলব্ধ ৭ উইকেট। কিন্তু মোহিত শর্মা এবং রশিদ খানের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের কাছে রান আটকে যায় মুম্বাইয়ের। প্রশ্ন উঠেছে হার্দিকের অধিনায়কত্ব নিয়ে। পাওয়ার প্লে-তে দুই ওভারে ২০ রান দেন হার্দিক। ব্যাটিং অর্ডারে অদ্ভুতভাবেই ৭ নম্বরে নেমে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। শেষ মরসুমেও গুজরাটের হয়ে তিনি নেমেছেন ৪ নম্বরে। এই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইরফান পাঠানের মতো প্রাক্তন ভারতীয় তারকা পেসারও। ইরফান সাফ জানিয়েছেন, ‘ওই সময় রশিদ খানের মতো লেগস্পিনার বল করছিল। কিন্তু হার্দিক নিজে না নেমে টিম ডেভিডকে পাঠালেন। এই সিদ্ধান্ত কার্যতই অদ্ভুত। রশিদকে সামলানোর জন্য অবশ্যই হার্দিকের আগে নামা উচিত ছিল।’

শেষ ওভারে মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। উমেশ যাদবের প্রথম দুটো বলে একটা ছয় ও একটা চার মেরে আশাও জাগিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আশা বেশিক্ষন স্থায়ী হলো না। তৃতীয় বলটা পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। তাঁর আউটের পর কার্যত ম্যাচও বেরিয়ে যায় মুম্বাইয়ের হাত থেকে। স্বাভাবিকভাবেই আইপিএলের শুরুটা একেবারেই সুখকর হলো না মুম্বাই তথা হার্দিকের জন্য। কত তাড়াতাড়ি এই পরাজয়ের গ্লানি দল কাটিয়ে উঠতে পারে, এবার সেটাই দেখার।