নবমবারের জন্য ওডিআই কেরিয়ারে পাঁচ বা তার বেশী উইকেট নিলেন মিচেল স্টার্ক

স্টার্কের বিধ্বংসী স্পেলের সৌজন্যে মাত্র ১১৭ রানে অল আউট হয়ে যায় ভারত

Mitchell Starc. (Photo by Pankaj Nangia/Getty Images)

মিচেল স্টার্ক বিশাখাপত্তনমের ডক্টর ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডি এসিএ-ভিডিসিএ স্টেডিয়ামে চলমান দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আবারও ভারতীয় টপ অর্ডারকে বিপর্যস্ত করেছেন। ভারতীয় ইনিংসের শেষ উইকেটটি তুলে তাঁর ফাইফার সম্পূর্ণ করেছেন স্টার্ক। বাঁ-হাতি পেসার মুম্বাইতে আয়োজিত প্রথম ওডিআইতে তিন উইকেট নিয়েছিলেন।

Advertisement
Advertisement

রবিবার ভাইজাগের মেঘলা আবহাওয়ায় স্টিভ স্মিথ টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ইনিংসের তৃতীয় বলে শুবমান গিলের উইকেট নিয়ে স্টার্ক দ্রুত তাঁর অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের একটি ডেলিভারিতে গিল কাট মারার চেষ্টা করলে বল তাঁর ব্যাটের বাইরের প্রান্তে লেগে পয়েন্টে দাঁড়ানো ফিল্ডার মার্নাস ল্যাবুশেনের হাতে জমা পড়ে।

৩৩ বছর বয়সী বাঁ-হাতি পেসার পঞ্চম ওভারে পরপর দুই বলে দুটি উইকেট তুলে ভারতকে আরও বড় ধাক্কা দেন। এবারেও অফ স্টাম্পের একটি বাইরের ডেলিভারি খেলার প্রলোভন সামলাতে পারেননি ব্যাটার রোহিত শর্মা এবং ড্রাইভ মারার চেষ্টায় ফার্স্ট স্লিপে দাঁড়ানো স্টিভ স্মিথকে ক্যাচ দেন।

আগের ম্যাচের নায়ক কেএল রাহুলও পরাস্ত হন স্টার্কের বোলিংয়ে

পরের ডেলিভারিতে তিনি সূর্যকুমার যাদবকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। পরপর দুই ম্যাচে গোল্ডেন ডাকে আউট হন সূর্যকুমার। স্টার্ক প্রথম ওডিআইতেও সূর্যকুমারকে একইভাবে আউট করেছিলেন। ড্রাইভ মারার চেষ্টা করার সময় ব্যাট নামাতে কিছুটা দেরি করে ফেলায় পতন হয় ব্যাটারের।

স্টার্ক এরপর নবম ওভারে গত ম্যাচের ত্রাতা কেএল রাহুলের উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের অবস্থা আরও সঙ্গীন করে তোলেন। বল ফ্লিক করার চেষ্টা করলেও স্টার্কের গতির কাছে পরাজিত হন রাহুল এবং নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে থাকা বিরাট কোহলির সঙ্গে পরামর্শর পরে ডিআরএস চায়লেও বাঁচতে পারেননি ব্যাটার।

তারপরে দশম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার উইকেট নিয়ে ভারতের বড় স্কোরের আশা নষ্ট করে দেন শন অ্যাবট। সেকেন্ড স্লিপে দাঁড়ানো স্টিভ স্মিথ একটি উড়ন্ত ক্যাচ নিয়ে স্তম্ভিত করে দেন গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকদের। বিরাট কোহলি স্টার্কের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে খেললেও ৩৫ বলে ৩১ রান করা কোহলিকে ড্রেসিং রুমে ফেরান ন্যাথান এলিস।

ভারতের লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা বিশেষ প্রতিরোধ দেখাতে পারেননি এবং নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে ভারত। নয় উইকেট চলে যাওয়ার পরে আবার বোলিং আক্রমণে ফেরানো হয় স্টার্ককে। ২৬তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বিরুদ্ধে দুটি ছয় খেলেও, ওভারের শেষ বলে মহম্মদ সিরাজকে বোল্ড করে স্টার্ক তাঁর ওডিআই কেরিয়ারের নবম ফাইফার নথিভুক্ত করেন। আট ওভার বোলিং করে একটি মেডেনসহ ৫৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন স্টার্ক।