গ্যারি কার্স্টেন, আশিস নেহরাকে কোচ করার দিকে তাকিয়ে লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজি

জোরকদমে চলছে আইপিএলে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া

Gary Kirsten
Gary Kirsten. (Photo by Harry Trump/Getty Images)

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ(আইপিএল)-এর পরবর্তী সংস্করণ থেকে টুর্নামেন্টে দুটি নতুন দল সংযুক্ত হতে চলেছে। সঞ্জয় গোয়েঙ্কার নেতৃত্বাধীন আরপিএসজি গ্রুপ লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনার জন্য ২০৯০ কোটি টাকার সর্বোচ্চ বিড করেছে। এখন জানা যাচ্ছে যে গোষ্ঠীটি তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচিং স্টাফ হিসেবে নিয়োগ করার জন্য গ্যারি কার্স্টেন ও আশিস নেহরার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।  

নেহরা এবং কার্স্টেন উভয়েই ভারতীয় দলের অংশ ছিলেন যখন ভারত ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল। ভারতের প্রাক্তন বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার এবং প্রাক্তন প্রোটিয়া ব্যাটারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিপুল অভিজ্ঞতা রয়েছে। নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া আইপিএল দলটিকে গাইড করার ক্ষেত্রে তাঁদের এই অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হতে পারে। যদিও এখনও কোন সুস্পষ্ট ঘোষণা করা হয়নি কোন পক্ষ থেকেই। তবে শোনা যাচ্ছে এই দুজনকে প্রধান কোচ এবং পরামর্শকের ভূমিকার জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে। 

লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজি আসন্ন আইপিএলে অংশগ্রহণের সকল প্রক্রিয়া মসৃণভাবে সম্পন্ন করছে

কোচিং স্টাফ নিয়োগ সম্পর্কে এখনও কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ক্রিকবাজের মতে, দলগুলি একটি গোপনীয়তার শর্তের কারণে মুখে কুলুপ এঁটে আছে এবং সেই কারণেই নিয়োগ সংক্রান্ত কোন খবর এখনই প্রকাশ করছে না। উল্লেখ্য, আরপিএসজি গ্রুপ এর আগে ২০১৬ ও ২০১৭ সালের আইপিএলে অংশ নিয়েছিল পুনে শহরকেন্দ্রিক একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকগোষ্ঠী হিসেবে। 

তারা রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের মালিক ছিল যে দলের প্রথম নেতা ছিলেন এমএস ধোনি। আইপিএলের মতো হাই-প্রোফাইল টুর্নামেন্টে লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজি যাতে নির্ঝঞ্ঝাটে অংশগ্রহণ করতে পারে তার জন্য বিসিসিআই এবং আরপিএসজি গ্রুপ ক্রমাগত আলোচনা করে গেছে। গোষ্ঠীটি বোর্ডের কাছ থেকে লেটার অফ ইন্টেন্টও পেয়ে গেছে এবং এখনও পর্যন্ত তাদের সমস্ত রকম প্রক্রিয়া মসৃণভাবেই চলছে।   

আইপিএলের আসন্ন সংস্করণের জন্য ইতিমধ্যেই দলগুলির জন্য খেলোয়াড় ধরে রাখা বা প্লেয়ার রিটেনশন নীতি প্রকাশিত হয়েছে। নীতি অনুযায়ী, বিদ্যমান আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ চারজন খেলোয়াড় ধরে রাখার অনুমতি পাবে। দলগুলোর কাছে আনুমানিক ৯০ কোটি টাকা থাকবে। ২০২১ আইপিএল নিলামের চেয়ে কোটি টাকা বেশি থাকবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির কাছে। 

দলগুলিকে তিনজন ভারতীয় এবং একজন বিদেশী খেলোয়াড় বা দুইজন ভারতীয় এবং যত বেশি বিদেশী খেলোয়াড় রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, এই নিলামে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে রাইট টু ম্যাচ কার্ড প্রয়োগ করার অধিকার থাকবে না। দুটি নতুন দল শুরুতেই দুজন ভারতীয় এবং একজন বিদেশী খেলোয়াড় বাছাই করতে পারবে। আশা করা হচ্ছে নিলাম সংক্রান্ত আরও বিশদ নির্দেশিকা আসবে কয়েক দিনের মধ্যেই।