গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে কলকাতা নাইট রাইডার্স দু’বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০১২ ও ২০১৪ সালে এই খেতাব নিজেদের নামে করে শাহরুখ খানের দল। নাইটের শেষ বারের ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে দলের অন্যতম শক্তি ছিল রবিন উথাপ্পা। উইকেটের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি ২০১৪ সালে কমলা টুপিও নিজের নামে করেন উথাপ্পা। সেই মরসুমের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনিই। কিন্তু পরবর্তীতে মূল সারির ক্রিকেট থেকে ২০২২ সালে অবসর ঘোষণা করেন এই উইকেট রক্ষক-ব্যাটার। সম্প্রতি তাকে ইন্ডিয়ান স্ট্রিট প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। শোনা যাচ্ছে, সচিন তেন্ডুলকারের বিশেষ অনুরোধেই হাজির ছিলেন তিনি। প্রাক্তন নাইট তারকা এদিন সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছেন, মেন্টর হিসাবে গম্ভীর দলের সাথে যোগ দেওয়ায়, ট্রফি ভাগ্য ফিরতে পারে কলকাতার।
Advertisement
Advertisement
উথাপ্পা বলেন, ‘কেকেআরের তরফে যেদিন গম্ভীরের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়, সেদিনই আমি সমাজমাধ্যমে লিখেছিলাম, এটি নাইটদের জন্য সবচেয়ে ভালো খবর। গম্ভীর যে দলে থাকবে, সেই দলে সাফল্য আসবেই।’ এর পাশাপাশি তিনি আরো যোগ করেন, ‘অধিনায়ক হিসাবে সবসময় আমাদের এক সুতোয় বেঁধে রেখেছিলেন গৌতি ভাই। তরুণ ক্রিকেটাররা কখনো ব্যর্থ হলেও তাদের বসিয়ে দিত না। অন্তত তিনটি ম্যাচ সুযোগ দিতই। দলের মধ্যে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছিল যে, ২২ গজে মরিয়া হয়ে নামতো সকলে। অধিনায়ক হিসেবে গৌতি ভাই যতদিন দলে ছিল, কেকেআর ভালো খেলেছে। এবার মেন্টর হিসেবে ওর প্রত্যাবর্তনের অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে। আশা রাখি, গৌতি ভাইয়ের সঙ্গে কলকাতার ট্রফি ভাগ্যও ফিরবে।’ উথাপ্পা শেষ বছর আইপিএল খেলেছেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে ট্রফিও জিতেছেন। কিন্তু নাইটদের প্রতি আবেগ একফোঁটাও কমেনি তার।
তিনি বলেন, ‘কেকেআর ছেড়েছি বহুদিন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু দলটির প্রতি ভালবাসা একই রয়ে গেছে। অবশ্যই চাই আবারও আইপিএল জিতুক কেকেআর।’
যদিও আইপিএলের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটকেও সমান গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি। তিনি মনে করেন শেষ কয়েক বছর ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটের মান যথেষ্ট নেমে গিয়েছে। উথাপ্পার মতে, ‘এক মরসুমে ৮০০ রান করার মতো ব্যাটসম্যান খুব একটা দেখা যেত না। বর্তমানে এমন দেখা যাচ্ছে যে অনেকেই ৮০০-র বেশি রান করে ফেলছে। রঞ্জি ট্রফি আগের চেয়ে গুরুত্ব হারিয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীরা আরো এগিয়ে আসুক। রঞ্জি ট্রফিকেও আইপিএলের মতই উন্নতি সাধনের চেষ্টা করুক।’