কলকাতা নাইট রাইডার্স নেট রান রেটে এতটাই এগিয়ে ছিলো যে রাজস্থান রয়্যালস হারানোর পর কার্যত প্লে অফে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অফিসিয়ালি মুম্বই ম্যাচ না হওয়া পর্যন্ত তা ঘোষণা করা যাচ্ছিল না। আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রান ৬৫ পেরতেই কলকাতার প্লে অফে যাওয়ার অফিসিয়াল ছাড়পত্র পাওয়া হয়ে যায়। কারণ মুম্বইকে প্লে অফে যেতে হলে ১৭১ রানে জিততে হতো, কিন্তু হায়দরাবাদ সেটা হতে দেয়নি। চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে।
Advertisement
Advertisement
চতুর্থ টিম হিসেবে প্লে অফে ওঠায় মর্গ্যানদের খেলতে হবে বিরাট কোহলির টিম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গে। কিন্তু লিগ ম্যাচে হারের বদলা নিতে বিরাটরা প্রস্তুত। তাই কলকাতা নাইট রাইডার্সকে এলিমিনেটর ম্যাচ জিততে মূলত চারটি বিষয়ে নজর দিতেই হবে। সেগুলো কি কি একবার দেখে নেওয়া যাক –
১) ওপেনিং জুটি অর্থাত ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং শুবমন গিলকে ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে এবং দলকে ঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে হবে।
২) মিজল অর্ডারে রাহুল ত্রিপাঠী এবং নীতিশ রানা ছন্দে রয়েছেন। তবে অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান ছন্দে নেই, তাই অধিনায়ককে দ্রুত ফর্মে ফিরতে হবে। সেই সঙ্গে দীনেশ কার্তিকের যোগ্য সঙ্গত ভীষণ প্রয়োজন।
৩) রাসেল খেললে ডেথ ওভারে বোলিংয়ে দ্রে রাসের টাইট বোলিং যেমন লাগবে সেই সঙ্গে ভেঙ্কটেশ আইয়ারের মিডিয়াম পেসকে আরও ধারলো করে তুলতে হবে।
৪) চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে যেভাবে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে বোলিং করে ম্যাচ হারিয়েছিল, শিবম মাভিকে কিন্তু এই ঘটনা আর রিপিট না হয় তার জন্য চাপের মুখে পেপ টক জরুরী। একই সঙ্গে বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারিন ছন্দে রয়েছে তাই সেই ছন্দে থাকাটা জরুরী। লকি ফার্গুসেন আগুনে স্পেল চালিয়ে যেতে পারলে এলিমিনেটর ম্যাচে অবশ্যই ফেভারিট হিসেবে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।