রাজস্থান রয়্যালসকে ৮৬ রানে হারিয় কার্যত প্লে অফে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কারণ, নেট রান রেটে কলকাতা অনেকটা এগিয়ে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের থেকে। রাজস্থানকে হারানোর পর কলকাতার নেট রান রেট +০.৫৯, যার ফলে প্লে অফে চতুর্থ দল হিসেবে কার্যত নিশ্চিত কেকেআর। আর সেই সঙ্গে শারজায় রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে ফের একবার ট্রফির স্বপ্নে বুঁদ কেকেআর। দু’বারের চ্যাম্পিয়ন (২০১২, ২০১৪) কেকেআর বিগত দুই মরসুমে লিগ পর্যায় থেকে ছিটকে গিয়েছিল। ২০১৮ সালের পর ফের একবার কার্যত প্লে-অফে তারা।
Advertisement
Advertisement
এদিন টসে জিতে কলকাতাকে ব্যাট করতে পাঠায় রাজস্থান। যদিও শুরুটা অত্যন্ত ধীরে হয়। কিন্তু সময় যত এগোয় কেকেআরের দুই ওপেনার ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও শুবমন গিল নিজেদের চেনা ছন্দে ব্যাট করা শুরু করে। এরপর প্রথম উইকেটের পতন হয় ৭৯ রানে। যদিও ততক্ষণে বড় রানের লক্ষ্যে রান ওঠা রাস্তার চওড়া হতে শুরু করে দিয়েছিল। পরে নীতীশ রানা (৫ বলে ১২), রাহুল ত্রিপাঠি (১৪ বলে ২১) ভাল খেললেন। শেষ দিকে ভাল খেলে কেকেআর-এর রান ১৭১-এ পৌঁছে দিলেন দীনেশ কার্তিক (অপরাজিত ১৪) এবং মর্গ্যান (অপরাজিত ১৩)। এই মরসুমে শারজায় সর্বোচ্চ রান উঠল কেকেআর-এর দৌলতে।
আর জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় রাজস্থান। ছন্দে থাকা রাজস্থানের ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সওয়ালকে ফেরালেন শাকিব আল-হাসান। পরের ওভারে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে ফেরালেন শিবম মাভি। এরপর রাজস্থান ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসা চলতে থাকল। শিবম দুবে (১৮) এবং রাহুল তেওয়াটিয়া (৪৪) বাদে কোনও ব্যাটসম্যানই দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। রাহুল তেওটিয়া ঝোড়ো ব্যাটিং না করলে ৫০ রানের গণ্ডি রাজস্থান পার করতে পারত কি না সেটাই বড় প্রশ্ন ছিল।
আর রাজস্থানকে হারানোর পর আবার কাপ জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সমর্থকরা।