২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের ইনিংসের উপর আলোকপাত করে আকাশ চোপড়া বলেছেন যে কেন উইলিয়ামসন ওই ইনিংস দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে তিনি একজন ভিন্ন শ্রেণীর ক্রিকেটার।
Advertisement
Advertisement
কেন উইলিয়ামসন মাত্র ৪৮ ডেলিভারিতে ৮৫ রান করে নিউজিল্যান্ডকে তাদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪/১৭২ রানে পৌছতে সাহায্য করে। যদিও একপ্রকার অবলীলায় ওই রান তাড়া করে ক্যাঙ্গারুরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে তাদের প্রথম বৈশ্বিক শিরোপা জিতেছে।
তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং পারফরম্যান্সের প্রতিফলন ঘটানোর সময় আকাশ চোপড়া উইলিয়ামসনের প্রশংসা করে বলেছেন, “কেন উইলিয়ামসন আবারও একবার ব্যতিক্রমী হয়ে উঠলেন। কেন একাই লড়াই করছিলেন, তিনি সত্যিই অবিশ্বাস্য। যে ধরনের ইনিংস খেললেন তাতে তিনি দেখিয়ে দিলেন যে তিনি একজন ভিন্ন মানের ক্রিকেটার। টেনিস এলবোয় আক্রান্ত তিনি এবং বাম হাতে ব্যাট তুলতে সাবলীল নন, কিন্তু তা সত্ত্বেও যা সব ছক্কা মারলেন এবং যেভাবে ব্যাটিং করলেন তা অভাবনীয়।”
ক্রিকেটার থেকে ধারাভাষ্যকার হওয়া আকাশ মনে করেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কের লড়াকু ইনিংসই কিউইদের ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিল। আকাশ চোপড়া বিস্তারিত বলেছেন, “এটি ছিল যাকে বলে ‘অধিনায়কের নক’, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার উদাহরণ রাখলেন কেন উইলিয়ামসন। তিনি নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন। যদিও আমরা তাঁকে টি-টোয়েন্টি রকস্টার হিসাবে বিবেচনা করি না। কিন্তু তিনি মিচেল স্টার্ককে একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।”
উইলিয়ামসনের ইনিংসটি ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল। ২১ রানে থাকার সময় জশ হ্যাজলউড তাঁর ক্যাচ মিস করার পর আর কেন উইলিয়ামসন পিছন ফিরে তাকাননি। অজি বোলারদের উপর শুরু করেন তাণ্ডব।
মার্টিন গাপটিলের শ্রমসাধ্য ইনিংসের দিকে আঙুল তুলেছেন আকাশ চোপড়া। তিনি বলেছেন, “১৮০ ছিল গোল্ডেন নম্বর কিন্তু নিউজিল্যান্ড সেখানে পৌঁছতে পারেনি যদিও তারা পারত। গাপটিল ৩৫ বলে ২৮ রান করেছেন, যার মানে প্রায় ছয় ওভারে ২৮ রান করেছেন। তাই ১৮০ করতে হলে বাকী ১৪ ওভারে প্রায় ১৬০ তুলতে হত।”
৪৪ বছর বয়সী ভারতের প্রাক্তন টেস্ট ওপেনার এই বলে উপসংহারে এসেছেন যে ব্ল্যাক ক্যাপস ওপেনার আউট হওয়ার সময় দলের বাকিদের উপর অনেক চাপ রেখে গেছিলেন। আকাশ চোপড়া ব্যাখ্যা করেছেন, “সে ছয় ওভারে ২৮ করলে বাকিদের ১৪ ওভারে ১৬০ করতে হবে।। আমার এটা দেখে সবচেয়ে খারাপ লেগেছিল যে সে চেষ্টাও করছে না। প্রথম দশ ওভারে মাত্র ৫৭ রান উঠেছিল মাত্র এক উইকেট হারিয়ে। তাও বুঝতাম যদি তিন উইকেট হারাত।”