আইপিএল দলগুলি কী ভাবে খুঁজে নেয় ভবিষ্যৎ তারকাদের ?

IPL Trophy. (Photo Source: IPL/BCCI)

বর্তমানে ভারতীয় দলের অলিখিত নিয়ম আইপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ভালো পারফর্ম করলে খুব সহজেই জাতীয় দলে সুযোগ মিলবে। বলা যেতে পারে আইপিএল ভারতের জাতীয় দলের গেটপাস। বহু তরুণ তারকা উঠে আসছে এই কোটিপতি লীগ থেকে। এই আইপিএলেই ভালো খেলে বর্তমানে দেশের জার্সিতে সুযোগ পেয়েছেন রিঙ্কু সিং, অর্শদীপ সিংহের মতো তরুণ প্রতিভারা। বিগত কয়েক সিজনে দেখা গেছে যশপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়ার মত ক্রিকেটার নিয়মিত ভালো পারফর্ম করার পর জাতীয় দলে নিজেদের স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু এমন ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে এমন অনামী ক্রিকেটার খুঁজে এনে কিভাবে তারকা বানায় একেকটি দল। এর পিছনে রয়েছে দীর্ঘ বছরের বিনিয়োগ। ২০২২সালের নিলামের আগে লখনৌ সুপার জয়েন্টসের মিটার ছিলেন গৌতম গম্ভীর। তিনি দিল্লিতে একটি ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় দিল্লির তরুণ ক্রিকেটার আয়ুষ বাদোনিকে নজরে পড়ে তাঁর। শোনা যায় ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ দলে খেলা এই তরুণ বাদোনির উপর যাতে কোনো চাপ সৃষ্টি নাহয়, তাই কাউকে কিছু না জানিয়েই খেলা দেখতে গেছিলেন প্রাক্তন নাইট তারকা। এই ম্যাচ দেখার পরেই তরুণ ক্রিকেটারকে নেওয়ার জন্য নিলামে ঝাপায় লখনৌ। গম্ভীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির মুখে শোনা যায়, ‘ নিজে না দেখে কোন সিদ্ধান্ত নেয় না গৌতম। ক্রিকেটারদের না জানিয়েই তাদের খেলা দেখতে চলে যায়। কখনো ভালো না লাগলেও নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে জানাতে দ্বিধা করেন না গম্ভীর।’

Advertisement
Advertisement

 তবে তরুণ অখ্যাত ক্রিকেটারদের দলে নিয়ে চমক দেওয়ার পথটা প্রথম প্রশস্ত করেছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

পরে অন্য দলগুলি ও তাদের অনুসরণ করতে শুরু করে। গোটা দেশজুড়ে খেলা দেখে ক্রিকেটার খুঁজে নেয় আইপিএলের বিভিন্ন দলগুলি। ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী তারকা খুঁজে নিতে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের উপর আস্থা রাখে ভারতীয় বোর্ড। প্রতি বছরই নিলামে দেখা যায় কোন না কোন অনামি ক্রিকেটার কোটিপতি হয়ে যান। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সমির রিজভিকে ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে ঘরে তোলে চেন্নাই সুপার কিংস। এই সমস্ত ক্রিকেটারকে খুঁজে বার করার প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় স্কাউটিং, যা ফুটবলে একটি প্রচলিত শব্দ। বহু ক্লাব আগামীর তারকাকে এভাবেই ঘরে তোলার প্রক্রিয়া বজায় রেখেছে। বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটে এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই কাজ শুধু আইপিএলের আগে হয় এমনটা নয়। সারা বছর ধরেই দলগুলি এই প্রক্রিয়া চালায়। বহু তথ্য যোগাড় করে মরশুম শুরুর আগে ক্যাম্প তৈরি করা হয়। এভাবেই আগামীর ভবিষ্যৎ প্রতিভাবান তারকাকে খুঁজে রাখার প্রক্রিয়া বজায় রাখছে ভারত।