আইপিএল ২০২৪-এ লখনউ সুপার জায়ান্টসের শক্তি থেকে দুর্বলতা

Lucknow Super Giants
Lucknow Super Giants. (Photo Source: IPL/BCCI)

মিনি নিলামে বেশ কয়েকজন আনক্যাপড খেলোয়াড়কে কিনেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস (এলএসজি)। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৪-এর জন্য তাদের কাছে একটি শক্তিশালী দল রয়েছে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি গত দুই মরসুমে প্লেঅফ পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হয়েছিল। আসন্ন মরসুমটিতে তারা ট্রফি জিততে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

নিলামে মোট ছয়জন খেলোয়াড়কে কিনেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। তারা হলেন শিবম মাভি, আরশিন কুলকার্নি, মনিমরণ সিদ্ধার্থ, অ্যাশটন টার্নার, ডেভিড উইলি এবং মহম্মদ আরশাদ খান। এদের মধ্যে সবথেকে বেশি দাম পেয়েছেন শিবম মাভি। তাকে ৬.৪০ কোটি টাকার বিনিময়ে সই করিয়েছে এলএসজি। সিদ্ধার্থ ২.৪০ কোটি টাকা পেয়েছেন। ডেভিড উইলিকে তারা ২ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছে। এখন লখনউ সুপার জায়ান্টসের শক্তি এবং দুর্বলতার ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।

শক্তি

লখনউ সুপার জায়ান্টস দলে কুইন্টন ডি কক, কাইল মেয়ার্স, নিকোলাস পুরান এবং মার্কাস স্টোইনিসের মতো প্রভাবশালী বিদেশী খেলোয়াড়রা রয়েছেন। কেএল রাহুল সহ এই ব্যাটাররা এলএসজির ব্যাটিং লাইনআপকে অনেকটা শক্তিশালী করে তুলেছে। আইপিএলের ১৬তম সংস্করণে মেয়ার্স এবং পুরান খুব ভালো পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেছিলেন। আসন্ন মরসুমটিতে তারা কেমন পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

দুর্বলতা

এলএসজি দলের বোলিং আক্রমণ খুব একটা শক্তিশালী নয়। রবি বিষ্ণোই স্পিন আক্রমণকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন, কিন্তু পেস বোলিং বিভাগে এমন কেউ নেই। মার্ক উড তাদের দলের একজন অভিজ্ঞ পেসার, কিন্তু তার ফিটনেসের কারণে দল সমস্যার মধ্যে পড়ে যেতে পারে। আইপিএল ২০২৩-এ তিনি ৪টি ম্যাচ খেলে ১১টি উইকেট শিকার করেছিলেন। কিন্তু তারপর ফিটনেসের সমস্যার কারণে তিনি এলএসজিকে আর পরিষেবা দিতে পারেননি।

সুযোগ

গত দুই মরসুমে ফাইনালে উঠতে না পারলেও লখনউ সুপার জায়ান্টসের পারফরম্যান্স বেশ ভালোই ছিল। দেবদত্ত পাড়িক্কল গত মরসুমে খুব একটা ভালো ছন্দের মধ্যে ছিলেন না। আসন্ন মরসুমটিতে তিনি নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, আরশিন কুলকার্নি এবং শিবম মাভির মতো আনক্যাপড খেলোয়াড়দের কাছে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হয়ে ওঠার সুযোগ থাকবে।

চিন্তার কারণ

লখনউ সুপার জায়ান্টসের টপ অর্ডার বিদেশী খেলোয়াড়দের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। টুর্নামেন্টের মাঝে কোনোভাবে যদি তারা ছিটকে যান তাহলে দল সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবে। অন্যদিকে, মার্ক উড ভালো পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করতে না পারলে এলএসজির বোলিং বিভাগ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়বে।