এতদিন কমলা টুপির অধিকারী ছিলেন পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক কেএল রাহুল। ৬২৬ রানে করে টপে ছিলেন রাহুল। আর ঠিক তার পিছনেই ছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড। ৬০৩ রান ছিলো তাঁর ঝুলিতে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ফাইনালে ২৭ বলে ৩২ রান করে কমলা টুপির মালিক হলেন তিনি। এদিন ঋতুরাজের ইনিংসে ৩টি চার এবং ১টি ছয় ছিলো।
Advertisement
Advertisement
আর এদিন তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই বড়সড় সুযোগ হাতছাড়া করেছেন দীনেশ কার্তিক। শাকিব আল হাসানের বলে ফ্যাফ ডু’প্লেসিস ক্রিজে থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। স্টাম্পিংয়ের সুযোগ ফস্কান দীনেশ। তা নিয়ে সাংবাদিক আয়াজ মেনন বলেন, ‘বড়সড় ভুল দীনেশ কার্তিকের। ফাফকে স্টাম্পিং করার সুযোগ হারালেন। বড়সড় মাশুল গুনতে হতে পারে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইতিমধ্যেই হাফ সেঞ্চুরি করে ক্রিজে রয়েছেন দুপ্লেসিস।
অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত ৯টি ম্যাচ খেলে ৩২০ রান করে ফেলেছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। সঙ্গে তিনটি আলাদা আলাদা ভেন্যুতে তিনটি অর্ধশতরানও করেছেন। তাঁর ৯ ম্যাচের স্কোর যথাক্রমে ৪১ (অপরাজিত), ৫৩, ১৮, ১৪, ৬৭, ৮, ৩৮, ২৬, ৫৫। এর আগে ২০০৮ মরশুমে বাদ দিলে অভিষেক আইপিএলে ৩০০-র উপর রান কেউ করতে পারেননি। প্রথম বার এই নজির গড়লেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। বল হাতেও ৩ উইকেট নিয়েছেন আইয়ার। বুধবারও তিনি ওপেন করতে নেমে ৪১ বলে ৫৫ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি ৪ এবং তিনটি ৬।
আর এহেন ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে নিয়ে কৌতূহলেরও অন্ত নেই। কোয়ালিফায়ার ২-তে দিল্লিকে হারানোর পর মর্গ্যান বলেন, ‘বেঙ্কটেশ আইয়ারের আইডিয়াটা (ওপেন করানোর) সর্বপ্রথম কোচের মাথায় আসে। কী দুর্ধর্ষ খেলোয়াড় ও! ও যখন ব্যাট করছিল, তখন রান তাড়া করাটা খুবই সহজ মনে হচ্ছিল। ও যেন সম্পূর্ণ ভিন্ন কোনো উইকেটে ব্যাট করছিল বলে মনে হচ্ছিল। সিএসকে, যারা আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফ্রাঞ্চাইজ, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা এমনভাবেই খেলতে ইচ্ছুক। (ফাইনালে) সবকিছুই সম্ভব।’