শুভমন গিলের দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরী, জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৩ রানে ম্যাচ জিতে ৩-০ সিরিজ ভারতের

INDIA_TEAM
INDIA_TEAM. ( Image source: Zimbabwe cricket)

সিরিজ জয় আগেই হয়ে গিয়েছে। শেষ ম্যাচে জিমবাবোয়ের বিরুদ্ধে ভারতী দলের লক্ষ্য ছিল হোয়াইট ওয়াশ। শুভমন গিলের দক্ষ হাতে ভর করে জিম্বাবোয়ের ঘরের মাঠে তাদের ৩-০-এ সিরিজ হারিয়েই দেশে ফেরার পথে ভারতীয় দল। প্রথম দুই ম্যাচে না পারলেও, শেষ ম্যাচেই জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে বহুদিন কাঙ্খিত সেই সেঞ্চুরী পেলেন শুভমন গিল। জিম্বাবোয়ের মাটিতে তাঁর ১৩০ রানের সেঞ্চুরী ইনিংসে ভর করেই ১৩ রানে শেষ ম্যাচও জিতে  নিল টিম ইন্ডিয়া। তবে পাল্টা লড়াইটা সিকান্দার রাজা কিন্তু ভালই দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেঞ্চুরীতেও শেষরক্ষা হয়নি।

হারের স্টেডিয়ামএদিন শুধুই শুভমন গিল ময়। হবে নাই বা কেন তিন ম্যাচের সিরিজে একটি অর্ধশতরান এবং একটি শতরান। তাঁর হাত ধরেই তো এদিন জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের দখল নিজেদের হাতে নিতে পেরেছিল ভারতীয় দল। শুধু তাই নয় একইসঙ্গে ভারতের একদিনের দলের জন্য শুভমন গিল যে কার্যত প্রস্তুত তারও বার্তা এদিন দিয়ে রাখলেন তিনি। তাঁর ১৩০ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংসেই এদিন জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল টিম ইন্ডিয়া।

৯৭ বলে ১৩০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হয়েছেন শুভমন গিল, সিরিজের সেরাও তিনিই

সিকান্দার রাজা শেষপর্ন্ত একটা চেষ্টা অবশ্য এদিন চালিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে শেষরক্ষা করতে পারেননি। ভারতের কাছে রানে হার মানতেই হয় জিম্বাবোয়েকে। আর এই জয় যে এশিয়া কাপের আগে লোকেশ রাহল, দীপক চাহারদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার শুধুই তাদের সামনে এশিয়া কাপে নামার অপেক্ষা।

টস জিতে এদিন জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় দলের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। পরপর দুই ম্য়াচে প্রথমে বোলিং নিয়ে ম্যাচ জিতেছিল ভারত। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে দলের ব্যাটারদের শক্তিই দেখে নিতে চেয়েছিলেন লোকেশ রাহুল সহ টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও ওপেনিংয়ে এদিনও কিন্তু বড় রান করতে ব্যর্থই হয়েছিলেন লোকেশ রাহুল। মাত্র ৩০ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। শিখর ধও.য়ানও ৪০ রানেই সাজঘরে ফেরেন। পঞ্চাশ রানের পার্টনারশিপই তারা করতে পারেন।

৮৪ রানের মধ্যে দুই উইকেট খোয়ায় ভারত। সেই জায়গা থেকেই দলের হাল ধরেন শুভমন গিল। আর সেই সহ্গেই ধীরেধীরে জিম্বাবোয়ের ওপর দাপট দেখানোও শুরু হয় তাঁর। ব্যাট হাতে এদিন শুরু থেকেই খানিকটা আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। ৮২ বলে এদিন জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরীটা করেন তিনি। ১৩০ রানেই থামেন শুভমন গিল। সেইসঙ্গেই জিম্বাবোয়ের মাটিতে নতুন রেকর্ডেরও মালিক হন তিনি। ভারতের ইনিংস শেষ হয় ২৮৯ রানে।

জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে শেষ ১৫টি একদিনের ম্যাচেই জয়ী ভারত

২৯০ রানের লক্ষ্য নিয়ে শুরুতেই ফিরে যান ইনোসেন্ট কাইয়া। এরপর সিন উইলিয়ামস কিন্তু দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু ৪৫ রানে থামতে হয় তাঁকেও। দীপক চাহার, কুলদীপ যাদব এবং অক্ষর পটেলদের হাত ধরে হঠাত্ই বেকায়দায় পড়ে যায় জিম্বাবোয়ে। ৮২ রানে ২ ুইকেট থেকে ১২২ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে তখন বেশ চাপে জিম্বাবোয়ে। কিন্তু পুরোপুরি স্বস্তিতে ছিল না ভারতীয় দলও। কারণ ক্রিজে তখনও ছিলেন সিকান্দার রাজা। কতিনি ১১৫ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি। তিনি সাজঘরে ফেরার সঙ্গেই ম্যাচের ভবিষ্যত্ও নির্ধারিত হয়ে যায়।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই সিকান্দার রাজাই ছিলেন জিম্বাবোয়ের অন্যতম প্রধান কারিগড়। শেষপর্যন্ত দেশের মান বাঁচানোর লড়াইটা তিনি করেছিলেন দেখার মতো। কিন্তু সাফল্য আসেনি। হাড্ডহাড্ডি লড়াই করেও হার মানতেই হয় জিম্বাবোয়েকে।