অ্যাশেজ ম্যাড়ম্যাড়ে লাগলেও দক্ষিণ আফিকা-ভারত সিরিজ উত্তেজক মনে হয়েছে ইয়ান চ্যাপেলের

প্রতিভা খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছেন তিনি

South Africa vs India. (Photo by RODGER BOSCH/AFP via Getty Images)

অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল এমন যোগ্য নির্বাচক থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন যারা খুব তাড়াতাড়ি প্রতিভা চিনতে সক্ষম, যাতে সিনিয়র টেস্ট দলগুলিকে ভাল জায়গায় রাখা যায়। এই প্রসঙ্গে চ্যাপেল দক্ষিণ আফ্রিকার কিগান পিটারসেনের উদাহরণ ব্যবহার করেছেন যিনি ভারতের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের কারণে প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন। 

Advertisement
Advertisement

“দক্ষিণ আফ্রিকা আশ্চর্যজনকভাবে ভারতকে একটি পুরানো ধাঁচের ডগফাইটে পরাজিত করেছিল যাতে কিছু মুগ্ধকর ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর সাথে এমন ধরণের আবেগ জড়িত ছিল যা উল্লেখযোগ্যভাবে অ্যাশেজ সিরিজে অনুপস্থিত ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে বোলিংয়ের আধিপত্য ছিল এমন পিচগুলিতে যেগুলি সম্ভবত ফিল্ডিং করা দলের পক্ষে খুব বেশি ছিল, তবে কিছু দুর্দান্ত ব্যাটিংও ছিল,” চ্যাপেল ইএসপিএনক্রিকইনফো-র জন্য তাঁর কলামে লিখেছেন।  

কিগান পিটারসেনের প্রশংসা করেছেন চ্যাপেল

“যেহেতু দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ব্যাটিং দেখা যায় না এখন, তাই ডিন এলগার, টেম্বা বাভুমা, কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলির সাহসী ইনিংসগুলি উল্লেখযোগ্য। ঋষভ পান্ত এবং কিগান পিটারসেনের শট খেলার ধরণ প্রমাণ করে যে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেও স্কোর অর্জন করা যেতে পারে প্রতিকূল পিচে। বিশেষ করে, পিটারসেনের আকস্মিক খ্যাতির উত্থান একটি অনবদ্য আবিষ্কার এবং এতোদিন তিনি কোথায় ছিলেন সেই প্রশ্ন উঠতেই পারে। এই উদাহরণটি টেস্ট ক্রিকেটের একটি রহস্য উন্মোচন করে: কিছু নির্বাচক কি জানেন তাদের কী খুঁজতে হবে?,” চ্যাপেল লিখেছেন। 

ভারতের বিপক্ষে সিরিজে পিটারসেন ২৭৬ রান করতে সক্ষম হন এবং সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি।

“পিটারসেনের বয়স ২৮, কিন্তু তিনি মাত্র পাঁচটি টেস্ট খেলেছেন। অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও তার কাছে টেস্টে ৩ নম্বরে ব্যাটিং করার সমস্ত গুণ রয়েছে, যার মধ্যে শটের একটি বিস্তৃত পরিসর আছে, এবং একটি দৃঢ় রক্ষণ আছে তা হলে কেন তিনি এতোদিনে খেলছেন?” বলেছেন চ্যাপেল।

“প্রায়শই দৃঢ় খেলোয়াড়দের বেছে নেওয়ার মানসিকতা দেখা যায় এবং কিছু ক্ষেত্রে এটি একটি বুদ্ধিমান নির্বাচন হতে পারে। অন্যদিকে, ভক্তরা আক্রমণাত্মক তরুণ খেলোয়াড়কে নির্বাচিত হওয়ার আশা করেন, এবং যখন এই খেলোয়াড়রা ভালো খেলে দেয়, তখন তারা দুর্দান্ত বিনোদন দেয়,” তিনি যুক্ত করেছেন। 

চ্যাপেল আরও বলেছেন যে কীভাবে ভাল নির্বাচকদের খুব কাঁচা পর্যায়ে প্রতিভা খুঁজে বের করার দক্ষতা রয়েছে এবং কোচদের চেয়ে নির্বাচকদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার একটি শক্ত কারণ রয়েছে।

“একজন ভাল টেস্ট নির্বাচক তার পছন্দের উভয় বিবেচনাকে অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম এবং সেই কারণেই তাদের অত্যন্ত সম্মান করা হয়। যখন আর্থিক পুরস্কারের কথা আসে, তখন ক্রিকেটের উচিত কোচিংয়ের চেয়ে নির্বাচনকে বেশি মূল্যায়ন করা শুরু করা; এটি একটি আনন্দদায়ক এবং সার্থক পরিবর্তন আনবে,” চ্যাপেল বলেছেন।