বোলিং করতে না পারলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের আন্দ্রে রাসেলকে তাদের প্লেয়িং ইলেভেনে আনা উচিত নয়। এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা প্রক্তন নাইট অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। এর আগে, আবুধাবিতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে কেকেআরের ম্যাচের সময় রাসেল হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে তাকে বাইরে বসে থাকতে হয়েছিল। প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামও স্বীকার করেছেন যে রাসেলের অনুপস্থিতি দলের ভারসাম্যে তারতম্য ঘটাচ্ছে। উল্লেখ্য, গৌতম গম্ভীর কেকেআরকে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে দুটি আইপিএল ট্রফি এনে দিয়েছিলেন। গম্ভীরের সংযোজন, সাকিব আল হাসানকে প্রথম একাদশে না রাখা কিছু ভল সিদ্ধান্ত নয়।
Advertisement
Advertisement
এখনও পর্যন্ত আইপিএলের মরশুমে ১০ ম্যাচে রাসেলের ঝুলিতে ১১ উইকেট রয়েছে, যদিও ৯.৮৯ ইকোনমি রেট। আর ব্যাটে ২৬.১৪ গড়ে ১৮৩ রান এসেছে ব্যাটে আর স্ট্রাইক রেট ১৫২.৫০, আর অর্ধশতরানের সংখ্যা ১।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার টসে জিতে কলকাতাকে ব্যাট করতে পাঠায় রাজস্থান। যদিও শুরুটা অত্যন্ত ধীরে হয়। কিন্তু সময় যত এগোয় কেকেআরের দুই ওপেনার ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও শুবমন গিল নিজেদের চেনা ছন্দে ব্যাট করা শুরু করে। এরপর প্রথম উইকেটের পতন হয় ৭৯ রানে। যদিও ততক্ষণে বড় রানের লক্ষ্যে রান ওঠা রাস্তার চওড়া হতে শুরু করে দিয়েছিল। পরে নীতীশ রানা (৫ বলে ১২), রাহুল ত্রিপাঠি (১৪ বলে ২১) ভাল খেললেন। শেষ দিকে ভাল খেলে কেকেআর-এর রান ১৭১-এ পৌঁছে দিলেন দীনেশ কার্তিক (অপরাজিত ১৪) এবং মর্গ্যান (অপরাজিত ১৩)। এই মরসুমে শারজায় সর্বোচ্চ রান উঠল কেকেআর-এর দৌলতে।
আর জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় রাজস্থান। ছন্দে থাকা রাজস্থানের ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সওয়ালকে ফেরালেন শাকিব আল-হাসান। পরের ওভারে অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে ফেরালেন শিবম মাভি। এরপর রাজস্থান ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসা চলতে থাকল। শিবম দুবে (১৮) এবং রাহুল তেওয়াটিয়া (৪৪) বাদে কোনও ব্যাটসম্যানই দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। রাহুল তেওটিয়া ঝোড়ো ব্যাটিং না করলে ৫০ রানের গণ্ডি রাজস্থান পার করতে পারত কি না সেটাই বড় প্রশ্ন ছিল।