“আমি এখানে আগামীকালের খেলা নিয়ে কথা বলতে এসেছি” – তামিম ইকবালের অবসর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন লিটন দাস
আপডেট করা - Jul 7, 2023 6:07 pm

৬ই জুলাই বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই অবসর ঘোষণা করেন তামিম ইকবাল। এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজ খেলতে ব্যস্ত বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচটিতে দলকে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু তারপরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
চলতি সিরিজের মাঝেই তামিম একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন এবং নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা সকলকে জানান। তিনি অবসরের কথা জানানোর সময় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের আগে তার হঠাৎ করে অবসর নেওয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন লিটন দাস। ৮ই জুলাই, শনিবার, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচটি খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
প্রাক-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবালের অবসর নিয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নে মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন লিটন দাস। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি শুধুমাত্র আসন্ন ম্যাচের ব্যাপারেই কথা বলবেন।
প্রাক-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাস বলেন, “আগামীকাল কি ঘটতে চলেছে তা নিয়ে কি এই সংবাদ সম্মেলন? যদি তা না হয় তাহলে লিটন দাসের এখানে না থাকাই ভালো। এসব বিষয়ে বোর্ড সভাপতি বা কোচকে ফোন করতে পারেন। আমি এখানে আগামীকালের খেলা নিয়ে কথা বলতে এসেছি।”
এই সিরিজে তামিম ইকবালের পরিবর্তে অন্য কাউকে দলে নেওয়ার প্রসঙ্গে লিটন দাস বলেন, “না। তিনি আগের ম্যাচে ছিলেন কিন্তু পরের ম্যাচে থাকবেন না। কোনোভাবেই যদি এমনটা না হতো এবং এর পরিবর্তে যদি তার চোট থাকতো, তাহলে আমরা বিকল্প কাউকে বেছে নিতাম। তাই আমার মনে হয় না যে এর জন্য কোনও পরিবর্তন হবে, সবকিছু একই থাকবে।”
প্ৰথম ম্যাচে খুব বেশি রান করতে পারেননি লিটন দাস
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্ৰথম একদিনের ম্যাচটিতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। লিটন দাস ৩৫ বলে ২৬ রান করেছিলেন। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার এবং ১টি ছয়। তিনি মুজিব উর রহমানের বলে আউট হয়ে গিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচটিতে যদি তারা জিততে না পারে তাহলে তাদের সিরিজ জয়ের আশা শেষ হয়ে যাবে। দ্বিতীয় ম্যাচটিতে বাংলাদেশ কামব্যাক করতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।