ওডিআই ফর্ম্যাটকে দীর্ঘ ও বিরক্তিকর মনে হচ্ছে ২০১৯ বিশ্বকাপজয়ী মইনের
ফর্ম্যাটের ভবিষ্যত নিয়ে খুব বেশী আশাবাদী নন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার
আপডেট করা - Aug 7, 2022 2:19 pm
ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মইন আলি বলেছেন, ৫০ ওভারের ক্রিকেট টেকসই নয়। দীর্ঘ ও বিরক্তিকর প্রকৃতির কারণে কয়েক বছরের মধ্যে ওয়ানডে হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি। সম্প্রতি মইনের সতীর্থ বেন স্টোকস ওডিআই থেকে অবসর নেওয়ার পরে এই ফর্ম্যাটের স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
“এই মুহূর্তে এটা আমার মতে টেকসই নয়। কিছু একটা করতে হবে কারণ আমি কয়েক বছরের মধ্যে ৫০ ওভারের ফর্ম্যাট শেষ হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছি কারণ এটি দীর্ঘ, বিরক্তিকর ফর্ম্যাটের মতো হয়ে গেছে”, তিনি বলেছেন।
মইন মনে করেন যে টি-টোয়েন্টি এবং টেস্টের নির্দিষ্ট সময়সূচী রয়েছে তবে ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটটি কোনও গুরুত্বহীনভাবে রয়ে গেছে। “এটা প্রায় এমন যে আপনি টি-টোয়েন্টি পেয়েছেন, আপনি টেস্ট ম্যাচ পেয়েছেন, যা দুর্দান্ত এবং তারপরে ৫০ ওভার ঠিক মাঝখানে – এই মুহুর্তে কোন গুরুত্ব দেওয়া হয় না যাকে”, তিনি যোগ করেছেন।
৫০ ওভারের ক্রিকেটে সম্ভবত আগের মতো আগ্রহ নেই: মইন আলি
তিন বছর আগে, ইয়ন মর্গ্যানের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের ২০১৯ ওডিআই বিশ্বকাপজয়ী স্কোয়াডের অংশ ছিলেন মইন। সেই টুর্নামেন্টে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তিনি। এই বছর ইংল্যান্ড মাত্র নয়টি ওয়ানডে খেলেছে এবং ২০২২ সালের বাকি সময়ে টেস্ট ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টিকে প্রাধান্য দেওয়ায় আর কোন ওয়ানডে নেই তাদের সময়সূচীতে। আগামী বছর ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে আসবে ইংল্যান্ড। মইন মনে করেন এই ফর্ম্যাটে আগ্রহ আগের মতো নেই।
তিনি বলেছেন, “এটা মনে হচ্ছে যে এটি যেভাবে চলছে তাতে আপনি প্রায় কিছুই করতে পারবেন না কারণ আমি মনে করি ৫০ ওভারের ক্রিকেটে সম্ভবত আগের মতো আগ্রহ নেই। তাই হ্যাঁ, ২০১৯ সালের দুই থেকে তিন বছর পর ভেবে দেখা খুবই কঠিন যে কেউ এটি খেলতে চাইছে না,” তিনি যোগ করেছেন।
মইন আলি বর্তমানে বার্মিংহ্যাম ফিনিক্সের হয়ে দ্য হান্ড্রেডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং বলেছেন যে ঘরোয়া ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টেও তেমন আগ্রহ নেই। “এই মুহুর্তে আমাদের এখানে ৫০ ওভার চলার সময়ই দ্য হান্ড্রেড হচ্ছে এবং কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ, ভাইটালিটি ব্লাস্ট এবং হান্ড্রেডের তুলনায় এটিতে তেমন আগ্রহ নেই।”
গতবারের ওডিআই বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যর মুখেই যখন ফর্ম্যাটের ভবিষ্যত সম্পর্কে সন্দেহ দানা বাঁধছে, তখন ওডিআই ক্রিকেট নিয়ে আর কতদিন বাকি বিশ্ব আগ্রহী হবে, সেই নিয়ে ভাবা শুরু করা উচিত ক্রিকেট কর্মকর্তাদের।