“আইপিএলে আমার পারফরম্যান্সের কারণে আমি এখানে এসেছি, দুটি মরসুম ছিল আমার টার্নিং পয়েন্ট” – তিলক ভার্মা

Tilak Varma.
Tilak Varma. (Photo Source: BCCI/Twitter)

প্রতিভাবান ভারতীয় ব্যাটার তিলক ভার্মা বলেছেন যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাকে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে তিলক অর্ধশতরান পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে এটি ছিল তার প্ৰথম অর্ধশতরান।

প্ৰথম এবং দ্বিতীয় উভয় টি-২০ ম্যাচেই ভারতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন তিলক ভার্মা। প্ৰথম ম্যাচে তিনি ২২ বলে ৩৯ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ৪১ বলে ৫১ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেন। তিনি এই ইনিংসে ৫টি চার এবং ১টি ছয় মেরেছিলেন। আইপিএলে তিলক এখনও পর্যন্ত ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন এবং ৭৪০ রান করেছেন। তার গড় এবং স্ট্রাইক রেট হল যথাক্রমে ৩৮.৯৫ এবং ১৪৪.৫৩।

ইএসপিএনক্রিকইনফো তিলক ভার্মার বক্তব্যকে উদ্ধৃত করেছে, “সবাই জানে যে দুটি আইপিএল মরসুম আমার টার্নিং পয়েন্ট ছিল। সেখানে আমার পারফরম্যান্সের কারণে আমি এখানে এসেছি। তাই আমি কেবল সেই আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলছি এবং আমি যা করছি তা চালিয়ে যেতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “আমি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পর থেকে রাহুল (দ্রাবিড়) স্যারের সাথে ছিলাম। তিনি সবসময় বলেন তোমার বেসিক বিষয়গুলি অনুসরণ করো এবং ২২ গজের উইকেটের মধ্যে যতটা পারো সময় ব্যয় করো। তিনি সবসময় বলেন তোমার খেলা যতটা সম্ভব উপভোগ করো। আমি যখন হার্দিক (পান্ডিয়া) ভাইয়ের সাথেও কথা বলছিলাম, তখন তিনিও একই কথা বলেছিলেন, তুমি আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল করেছ, তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তোমার এটিই করা উচিত। তোমার বেসিক বিষয়গুলি অনুসরণ করো এবং তোমার খেলা উপভোগ করো।”

দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচেও জয় পেল না ভারত

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ২ উইকেটে পরাজিত হয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন ভারত। প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫২ রান তুলেছিল ভারতীয় দল। রোভম্যান পাওয়েলের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৮.৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৫ রানে পৌঁছানোর মাধ্যমে ম্যাচটি জিতে নেয়।

নিকোলাস পুরান ৪০ বলে ৬৭ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ৪টি ছয়। তিনি এই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার পান। তৃতীয় ম্যাচে ভারত কামব্যাক করতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।