“টাকা না থাকলে কতজন ক্রিকেট খেলতে আসবে আমি জানি না”, ক্রিকেটে অর্থের গুরুত্ব প্রসঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়া

সাফল্য পেলেও কখনোই সেই সাফল্য মাথা ঘুরিয়ে দেয়নি তাঁর

Hardik Pandya. (Photo by Surjeet Yadav/Getty Images)

ভারতের তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ার বরোদার একটি ছোট কুঠুরি আকারের অ্যাপার্টমেন্টে থেকে মুম্বাইয়ে বিলাসবহুল সম্পত্তির মালিক হওয়ার গল্পটি অবিশ্বাস্য। ইদানীং মাঝেমধ্যেই তিনি তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত হয়েছেন। কিন্তু হার্দিক তাঁর দক্ষতা এবং প্রতিভার জোরে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের হয়ে যে জায়গায় পৌঁছেছেন তাতে তিনি এসব পাওয়ারই যোগ্য।

Advertisement
Advertisement

গত কয়েক বছর পান্ডিয়া ভারতের জন্য দক্ষ ফিনিশারের ভূমিকা পালন করে গেছেন নিয়মিতভাবে, এবং অধিনায়ক চাইলে বেশ কিছু ওভারও তাঁকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন। সম্প্রতি তিনি আলোকপাত করলেন তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিকে। কথা হল তাঁর শৈশবের সংগ্রাম থেকে শুরু করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কাহিনী, তাঁর উন্নতিতে তাঁর বাবার ভূমিকা প্রসঙ্গে।

আইপিএল নিলামে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায় এবং এটি খেলোয়াড়দের জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করে এবং আইপিএলে চুক্তি পাওয়ার পরে জীবনে কী পরিবর্তন আসে সে সম্পর্কেও কথা বলেছিলেন পান্ডিয়া। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘আইপিএলে অফারের বিপুল অর্থ কি খেলোয়াড়দের জন্য একটি বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, কেউ কি ভাবতে শুরু করতে পারে যে তারা নিলামে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের যোগ্য?’

আমি এবং ক্রূণাল নিশ্চিত করেছিলাম যে আমরা কখনই মাটি থেকে পা তুলব না: হার্দিক পান্ডিয়া

উত্তরে ‘ক্রিকেট মান্থলি’কে পান্ডিয়া বলেন, “কী ঘটছে তা বোঝার জন্য আপনার এক ঠাণ্ডা মাথা থাকা দরকার। আমি এবং ক্রূণাল খুবই ঠাণ্ডা মাথার ছিলাম, তাই আমরা এই সত্যটি মেনে নিতে সক্ষম হয়েছি যে টাকা এসেছে ঠিকই, কিন্তু আমরা কখনই মাটি থেকে এক পাও সরাব না।মনে হতে পারে আমি উড়ছি, কিন্তু দিনের শেষে আমি জানি, আমার পা সবসময় মাটিতে থাকে। টাকা অনেক কিছুই বদলে দেয়। আমি সেই উদাহরণগুলির মধ্যে একজন। অন্যথায়, আমি একটি পেট্রল পাম্পে কাজ করতাম। আমি মজা করতেছি না। আমার কাছে অগ্রাধিকার আমার পরিবারের জন্য একটি ভাল জীবন সুনিশ্চিত করা।”

পান্ডিয়া এই বিষয়েও মুখ খুলেছেন একজন ক্রিকেটারের ভালো খেলার পিছনে অর্থ কীভাবে মোটিভেশন হতে পারে। তিনি বলেছেন, “২০১৯ সালে আমি একজনের সাথে কথা বলেছিলাম যিনি বলছিলেন তরুণ ক্রিকেটারদের হাতে অর্থ থাকা উচিত নয়। আমি দ্বিমত পোষণ করলাম। যখন একটি গ্রাম বা একটি ছোট শহর থেকে একটি ছেলে একটি বড় চুক্তি পায়, তিনি এটি নিজের জন্য রাখেন না, তিনি তাঁর বাবামায়ের দেখাশোনার জন্য ব্যবহার করেন। অর্থ একটি বড় ফ্যাক্টর। এবং এটি প্রেরণাও দেয়। একটা ভুল ধারণা আছে যে মানুষের অর্থ নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। আমি এতে বিশ্বাস করি না, কারণ আপনি খেলাধুলার অনুরাগী এবং অর্থ আপনার প্রাপ্য। টাকা না থাকলে কতজন ক্রিকেট খেলতে আসবে আমি জানি না।”