‘ক্লিনস্কিন ও প্রাণোচ্ছল’ প্যাট কামিন্সকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান গ্রেগ চ্যাপেল

টিম পেইন ইস্তফা দেওয়ার পর এখনও পরবর্তী অধিনায়কের নাম ঘোষণা হয়নি

Greg Chappell
Greg Chappell. (Photo by Matt King – CA/Cricket Australia via Getty Images/Getty Images)

অ্যাশেজের আগে টিম পেইনের অনাকাঙ্খিত ও আকস্মিক পদত্যাগের পর অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দল এখন একজন অধিনায়কের খোঁজে। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি গ্রেগ চ্যাপেল তাঁর পছন্দের নাম হিসেবে নির্বাচন করলেন প্যাট কামিন্সকে। চ্যাপেল কামিন্সকে ক্লিনস্কিন ও প্রাণোচ্ছল চরিত্র হিসাবে বর্ণনা করেছেন। 

শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বড় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিল যখন পেইন সেক্সটিং কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। ৩৬ বছর বয়সী পেইন এক মহিলা সহকর্মীকে ২০১৭ সালে অশ্লীল বার্তা পাঠিয়েছিলেন। 

দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের জন্য তাঁর কলামে চ্যাপেল উল্লেখ করেছেন যে পেইন একটি কেলেঙ্কারির পরে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এখন তাঁর উত্তরসূরিকেও একই কাজ করতে হবে। কামিন্সকে সমর্থন করে তিনি বলেছেন, “সৌভাগ্যের বিষয় হল প্যাট কামিন্সের মতো একজন যোগ্য প্রার্থী আছ যে ক্যাপ্টেন হতে প্রস্তুত। আমি আশা করি কামিন্সকে অস্ট্রেলিয়ান পুরুষ দলের ৪৭তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হবে। পেইনকে যেমন করতে হয়েছিল, কামিন্সকেও তেমনই কেবল দলকে নেতৃত্ব দিলেই হবে না, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে্র উপর এবং অধিনায়ক পদটার উপর মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।”  

গ্রেগ চ্যাপেল বলেছেন প্যাট কামিন্স ক্লিনস্কিন ও প্রাণোচ্ছল

প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক আরও মতামত দিয়েছেন যে কামিন্স তাঁর ক্রিকেট দিয়ে জবাব দিতে পছন্দ করেন, যে গুণ তাঁকে নেতৃত্বের ভূমিকা নেওয়ার জন্য একজন ভাল প্রার্থী করে তোলে। তিনি বিস্তারিত বলেছেন, “প্যাট অত্যন্ত বুদ্ধিমান, একজন অসামান্য খেলোয়াড় এবং ওর দুর্দান্ত ক্রিকেট মস্তিষ্ক রয়েছে, তাই এই ভূমিকার জন্য আদর্শ। এছাড়া তিনি কথাই নয়, ব্যাট-বল দিয়ে জবাব দেওয়াকে প্রাধান্য দেন। খুবই অ্যাথলেটিক, একজন দুর্দান্ত ফিল্ডার, আমি আশা করি তিনি অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটার হিসেবেও উন্নতি করবেন। তিনি বিশ্বের সেরা ৮ নম্বর ব্যাটার, কিন্তু তার উপরেও ব্যাট করতে সক্ষম।”   

চ্যাপেল লম্বা ফাস্ট বোলারের প্রশংসা করে আরও লিখেছেন: “ফ্যানরা তাঁকে ভালোবাসে এবং তাঁকে একজন ক্লিনস্কিন হিসেবে দেখে, যিনি সর্বদা অস্ট্রেলিয়ার জন্য তাঁর হৃদয় দিয়ে বল করেন এবং একজন প্রাণোচ্ছল চরিত্র যিনি নিখুঁত অধ্যবসায় এবং দৃঢ়তার সাথে চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করতে সক্ষম।” 

ক্লিনস্কিন ও প্রাণোচ্ছল বলতে তিনি বিতর্ক থেকে দূরে থাকা প্যাট কামিন্সের শান্ত স্বভাব ও সজীবতার দিকে নির্দেশ করেছেন যা এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার কাছে খুব জরুরী। কারণ এমন গুণসম্পন্ন একজন নেতাই পারবেন দলের উপর সমর্থকদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে। 

কামিন্স অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ ছিলেন। তিনি সাতটি খেলায় মাত্র পাঁচ উইকেট তুললেও পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ডেথে দুর্দান্ত স্পেল করেছিলেন। ফাইনালেও তিনি মিতব্যয়ী ছিলেন। 

চ্যাপেল মতামত দিয়েছিলেন যে কাজের চাপ পরিচালনা করা হবে কামিন্সের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি। তিন ফরম্যাটেই অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন এই ফাস্ট বোলার।

সেই নিয়ে বলতে গিয়ে, ৭৩ বছর বয়সী লিখেছেন, “আমার সবচেয়ে বড় ভয়? কাজের চাপ। বিশ্রাম ছাড়াই একটি পূর্ণ পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে বাধ্য হবেন তিনি। তাই তাঁর সহকারী পদে কাকে নিয়োগ করা হয় সেটাই দেখার বিষয়। কামিন্সকেও নিজেকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে শিখতে হবে এবং অতিরিক্ত বেশী বা কম বোলিং করলে হবে না।”