আজ ডু অর ডাই ম্যাচে পরিসংখ্যানের দিক থেকে ভারতের থেকে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। তবে বিশ্বকাপে পরিসংখ্যান কতটা ওলট-পালট হতে পারে তার প্রমাণ বহু মিলেছে। সম্প্রতি পাকিস্তান ভারতকে হারিয়েছে। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম। গত রবিবার ম্যাচের আগে বিশ্বকাপে ভারত ১২-০ তে এগিয়ে ছিল। কিন্তু এবার ১২-১ করে নিল পাকিস্তান। তাই সোমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বিরাট কোহলিদের সব বিভাগে কেন উইলিয়ামসনদের টেক্কা দিতেই হবে এবং ম্যাচ জিততেই হবে এই টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে।
Advertisement
Advertisement
গাভাসকরের দাবি, পাকিস্তানের ম্যাচে হার নিয়ে বিশেষ দুশ্চিন্তা করা উচিত নয়। একদিন ভালো খেলতে পারেনি মানে এই নয় যে, ভারত ভালো দল নয়। বরং ভারতীয় দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আছে। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জিতে কোহলিরা সেমিফাইনালে উঠবেন এবং শেষ পর্যন্ত খেতাব জিতেই মাঠ ছাড়বেন বলে মত সানির।
গাভাসকারের সংযোজন, ‘নিউজিল্যান্ড সবসময় ব্যালান্সড দল। ওদের মধ্যে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে এবং ওর কখনই হার মানে না। একারণেই ওদের বিরুদ্ধে খেলতে নামলে আপনাকে সতর্ক থাকতেই হবে। ওদের বিরুদ্ধে ম্যাচ কখনই সহজ হয় না। তবে ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, ভারত ২০২০ সালেই নিউজিল্যান্ডকে ৫-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে। তা সে যতই দু’টি ম্যাচ সুপার ওভারে নিষ্পত্তি হোক না কেন, ভারত সেই ম্যাচগুলির জয় থেকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেতে পারে।’
প্রসঙ্গত, টি২০ ম্যাচের বিচারে এখনও পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের থেকে পিছিয়েই রয়েছে ভারত। দু’দলের মধ্যে মোট ১৭টি কুড়ি-বিশের ম্যাচ হয়েছে। তার মধ্যে নিউজিল্যান্ড ৮টি ও ভারত ৬টি ম্যাচ জিতেছে। ২টি ম্যাচ টাই ও একটি খেলা পরিত্যক্ত হয়েছে। আর একটি মাত্র ম্যাচে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন রানের নিরিখে তুল্যমূল্য দু’দল। যেখানে ভারতের সর্বোচ্চ রান ৬ উইকেটে ২০৮, সেখানে নিউজিল্যান্ড সর্বোচ্চ করেছে ৬ উইকেটে ২১৯। ভারতের সর্বনিম্ন রান ৭৯ অলআউট। সেখানে নিউজিল্যান্ড টি২০-তে সর্বনিম্ন ৬ উইকেটে ৬১ রান করেছে।