ট্রফি কেকেআরের ঘরে ফেরানোর বার্তা গম্ভীরের

KKR Jersy Launch 2024 (Source: X)

কলকাতার নাইট রাইডার্সের টিম হোটেলের বাইরের রাস্তা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে ভক্তদের লাইন। সত্যিই এই দৃশ্য বিরল। বিশেষত ২৩শে মার্চ যেখানে ম্যাচ শুরু হবে, তার এক সপ্তাহ আগে এহেন দৃশ্য স্বাভাবিকভাবেই খানিক কৌতূহল উদ্রেক করে। মূলত এহেন ভিড়ের কারণ কলকাতার নাইট রাইডার্সের জার্সি উদ্বোধন। তারা এবার জার্সি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিল ভক্তদের সামনে। পাশাপাশি তাঁদের নিজস্ব অ্যাপ ‘নাইট ক্লাব’ হাজির আরো কিছু বর্ধিত সুবিধা নিয়ে। নাইট ক্লাব অ্যাপের গান গেয়েছেন ঊষা উত্থুপ। শেষ কবে এত বড় অনুষ্ঠান করে কেকেআর তাদের জার্সি উদ্বোধন করেছে তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। কেকেআরের এক ঘনিষ্ট সূত্র মারফত বক্তব্য আসে, ‘২০০৮ সালে শাহরুখ এভাবেই জার্সি উদ্বোধন করেছিল। তারপর থেকে সেই ভাবে কোন আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ টিমের তরফে নেওয়া হয়নি।’ কেকেআর এবার শুরু থেকেই চমক দিতে চলেছে। মেন্টর হিসাবে গৌতম গম্ভীর কে ফিরিয়ে আনা থেকে মিচেল স্টার্কের আকাশছোঁয়া দাম, সবটাই সাড়া জাগিয়েছে। ২৪.৭৫ কোটি টাকা নিয়ে এবারে সবচেয়ে বেশি দাম পেয়েছেন অজি দলের বিশ্বকাপজয়ী তারকা মিচেল স্টার্ক।

এদিন মেন্টর গৌতম গম্ভীর তুলে ধরেন শাহরুখ খানের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের অজানা গল্প। প্রাক্তন অধিনায়ককে মেন্টর হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে শাহরুখ ফোন করেছিলেন। কী কথা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে? গম্ভীর বলেন, ‘ আমাকে সামলানো খুব একটা সহজ নয়। আমি মূলত খুবই জেদি। কিন্তু বেঙ্কি মাইসোর ও এসআরকে খুব সহজেই আমাকে সামলেছে। ২০১১ সালে কেকেআরের যোগ দেওয়ার পর এসআরকে আমাকে যে কথা বলেছিল এবারও ও একই কথা বলেছে।’ কী বলেছিলেন শাহরুখ। সেই প্রসঙ্গ ফাঁস করে তিনি বলেন, ‘এসআরকে বলেছিল, ভাঙো বা গরদ দল তোমারই। আমিও একই উত্তর দি, যা আগে দিয়েছিলাম।’

কেকেআরের নতুন মেন্টর বলেন, ‘ আমি থাকাকালীন কি কি সাফল্য আসবে, তা তো বলা যায় না। কিন্তু কথা দিলাম দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দিয়ে যাব।’

গম্ভীরের এই বক্তব্যের পর চিৎকারে ফেটে পড়েন ভক্তরা। গম্ভীর সেখানেই না থেমে আরো যোগ করেন, ‘ আমি একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই। আমি কেকেআরকে সফল করিনি। কেকেআর আমাকে সফল করেছে। কেকেআরই আমাকে নেতা বানিয়েছে। এই দল আমাকে শুধু সাফল্যই দেয়নি, অনেক কিছু শিখিয়েওছে। শাহরুখের থেকে আমি শিখেছি মর্যাদা ও সততা। রাসেল শিখিয়েছে আবেগ। নারাইনের থেকে শিখেছি ত্যাগ।’ এর পাশাপাশি তিনি কলকাতার মানুষকেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেন না। তাঁদের সমর্থনের প্রশংসা করেন। তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সবশেষে বলেন, ‘কলকাতার মানুষ আমাকে হাসতে শিখিয়েছে। কথা দিলাম মরসুম শেষেও আপনাদের মুখে হাসিটা ফুটবে। আশা রাখি মরসুম শেষে আমাদের শিবিরেই ট্রফি ফিরবে।’