ব্যাটারদের বোকা বানানো স্লোয়ার বলগুলোর জন্য ডোয়েন ব্রাভোর সুখ্যাতির কথা অনেকেই জানেন। শুধু মাঠেই যে তিনি ছন্দে থাকেন তাই নয়, মাঠের বাইরেও তাঁর গানের ছন্দ ও তাল মাত করেছে তামাম ফ্যানদের। এখন আর এটা কারোর কাচেই গোপন নেই যে গান ও মিউজিকের ব্যাপারে তাঁর কতটা প্যাশন আছে।
Advertisement
Advertisement
২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপের সময় তাঁর ‘চ্যাম্পিয়ন’ গান দিয়ে মিউজিকের জগতে প্রবেশ। সেই গান তাঁকে গায়ক হিসেবেও রাতারাতি তারকা করে তোলে। তিনি স্বীকার করেছেন ভারতীয়দের কাছ থেকে তিনি অভাবনীয় ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছেন। তিনি এও জানাতে ভোলেননি তাঁর অধিকাংশ গান অন্যান্য দেশে পরিচিতি পাওয়ার আগে ভারতে জনপ্রিয় হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “আমার বেশির ভাগ গান ভারতে প্রথমে এক মিলিয়নের উপরে ভিউ পেয়েছে। সেটা ‘চ্যাম্পিয়ন’ হোক, কি ‘জ্যাগার বম্ব’ হোক, কি ‘এমএস ধোনি’’
তিনি যখন তাঁর ক্যারিবীয় সঙ্গী-সাথীদের ভারতীয় সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করান সেই সময়ের স্মৃতিও ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। তারকা অলরাউন্ডার বলেছেন, “যে দেশ আমাকে এতো ভালোবাসা দিয়েছে সেই দেশের বৈচিত্র্য আমার সঙ্গীদের উপভোগ করতে দেখে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম।”
বিশ্বকাপের আগে আরেকটা গান বার করতে চলেছি
ব্রাভো এই মুহূর্তে চেন্নাই সুপার কিংসের সাথে আইপিএল খেলছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে নিয়মিত পারফর্ম করে চলেছেন এবং প্লে-অফেও দলকে জয় এনে দিতে মুখিয়ে আছেন। আইপিএল খেলার মাঝেই তিনি সময় বার করে নিয়ে আরো একটি গান বার করার প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন। গানটি রিলিজ হতে টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ঠিক আগেই। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “‘চ্যাম্পিয়ন’ গানের মতো আমি আরো একটা গান এই বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ঠিক আগেই প্রকাশ করতে চলেছি। গানটা হবে বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের অফিশিয়াল গান। জ্যাসি গিলের সাথে আরো একটি গান প্রকাশ হবে। দুবাইতেই সেই গানের ভিডিওর জন্য শুটিং হচ্ছে।”
এরপরেই তিনি ভারতের প্রতি তাঁর অপরিসীম ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ামাত্রই তিনি ভারতে আসার কথা ভাবছেন। সঙ্গে এও জানালেন ক্রিকেট ও মিউজিক দুটির প্রতিই গাঢ় টান অনুভব করলেও তাঁর কাছে ক্রিকেট সবসময়ই এগিয়ে থাকবে।
সেই সূত্র ধরেই তিনি বলেন, “অতিমারীর কারণে বিগত দুই বছর আমি ভারতে যেতে পারলাম না। আইপিএলও স্থানান্তরিত হয়ে গেল। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আমি ভারতে ফিরতে চাই। আমি সত্যিই ক্রিকেট ও মিউজিক নিয়ে ভীষণ আবেগপ্রবণ। তাই দুটোর জন্যই সময় বার করতে পারলে ভালো লাগে। কিন্তু ক্রিকেট আমার কাছে সব সময় অগ্রাধিকার পাবে। তবে আমি গান নিয়েও কাজ করে যাব এবং এমন গান বানাব যা শুনে মানুষ উপভোগ করতে পারে।”