“স্বাধীনভাবে খেলার ফলেই সাফল্য এসেছে”, কেকেআরের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে বললেন দীপ দাশগুপ্ত

প্যাট কামিন্সের না থাকা শাপে বর, মনে করছেন দীপ

Deepdas Gupta
Deepdas Gupta. (Photo Source: Instagram)

টিম ম্যানেজমেন্টের লাগাতার সমর্থন ও আশ্বাস ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাবোধ দিয়েছে এবং এর ফলেই কলকাতা নাইট রাইডার্সের চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন প্রাক্তন ভারতীয় উইকেটকিপার দীপ দাশগুপ্ত। ভারতে প্রথম ৭ ম্যাচে মাত্র ২টি ম্যাচে জিতে সপ্তম স্থানে ছিল কেকেআর প্রথম পর্যায়ের ম্যাচের শেষে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে এসে দলের ভোল বদলে গেছে। পরবর্তী ৭টি ম্যাচের ৫টিতে জিতেছে নাইটরা।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ফ্যানদের সাথে লাইভ আদানপ্রদানে একজন দীপকে জিজ্ঞাসা করেন কেকেআরের এই প্রত্যাবর্তনের মূলমন্ত্র কী? সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান বিগত মরসুমগুলির মতো দলে বেশি পরিবর্তন না করে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাটারের উপরেই ভরসা রেখেছে দল। ফলে ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শুবমান গিল, রাহুল ত্রিপাঠীর মতো ক্রিকেটাররা নির্ভয়ে খেলতে পেরেছে।

আশ্বাস পেয়ে ক্রিকেটাররা স্বাধীনভাবে খেলতে পেরেছে

দীপ বলেন, “স্বাধীনভাবে খেলার ফলেই সাফল্য এসেছে। আর স্বাধীনতা তখনই আসে যখন দলের নির্বাচকরা, কোচরা, টিম ম্যানেজমেন্ট, অধিনায়ক সবাই একজন ক্রিকেটারকে প্রত্যেক ম্যাচে ভরসা যোগায়। সেই আশ্বাসটা পেলে তবেই একজন ক্রিকেটার স্বাধীনভাবে নিজের খেলাটা খেলতে পারে। কেকেআরের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। গোটা মরসুম জুড়ে দলে খুব বেশি পরিবর্তন করতে দেখা যায়নি কেকেআরকে।

তিনি আরো জোড়েন, “ভেঙ্কটেশ আইয়ার দলটাকে নিজের কাঁধে অনেক দূর অবধি বহন করেছে। সব কিছুই ঠিকঠাক খেটে যাচ্ছে। বদল বলতে হয় প্রসিধকে বসানো হয়েছে বা চোটের কারণে যদি কেউ বাদ যায় তখন দলে বাধ্যতামূলক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সুযোগ পাওয়ায় ক্রিকেটাররা অনেক আশ্বস্ত হয়ে খেলতে পেরেছে।

দরকারের সময় কেকেআরের হয়ে কেউ না কেউ খেলে দিয়েছে। কখনো যদি ওপেনিং জুটিতে আইয়ার ও গিল রান পেয়েছে, তো কখনো তিনে নেমে ত্রিপাঠী ঝোড়ো ইনিংস খেলে দিয়েছে। কখনো আবার নীতিশ রানা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

কামিন্সের না থাকা শাপে বর হয়েছে

প্যাট কামিন্সকে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্যায়ে পায়নি কেকেআর। কিন্তু লকি ফার্গুসন কামিন্সের অভাব টের পেতে দেননি। ৫ ম্যাচ খেলে লকির সংগ্রহে ১০ উইকেট, মাত্র ৬.২২ ইকোনমি রেটে।  ফার্গুসনের পাশাপাশি নারায়ণ ও চক্রবর্তীরও প্রশংসা তাঁর মুখে, “প্যাট কামিন্সের না থাকা শাপে বর হয়েছে কেকেআরের। এর বাইরে বরুণ চক্রবর্তী ও সুনীল নারায়ণ ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করে গেছে। কখনো যদি উইকেট তুলতে ব্যর্থও হয়, তখন রান কম দিয়ে অবদান রাখছে।”

কেকেআর সমর্থকরা দলের এই প্রত্যাবর্তন দেখে আশায় বুক বাঁধছেন। চলতি ফর্ম ধরে রাখলে এই বছর হয়তো তৃতীয়বারের মতো আইপিএল ট্রফিটি ঘরে তুলবে মর্গ্যানরা।