ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস তৈরি করতে চান ডেভিড মিলার
আপডেট করা - Oct 1, 2023 5:58 pm

আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলেছে এবারের ওডিআই বিশ্বকাপ। এখনও পর্যন্ত একবারও বিশ্বকাপ জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনবার বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে পৌঁছতে পারলেও শেষরক্ষা করতে পারেনি তারা। যদিওসেই সমস্ত অতীত একেবারেইমনে রাখতেচাননা দক্ষিণআফ্রিকার তারকা ক্রিকেটার ডেভিড মিলার। শেষবার এই ভারতের মাটিতেই বিশ্বকাপেরপ সেমিপাইনালে পৌঁছেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার সেই ভারতের মাটিতেই বি্শ্বকাপ জিতে ইতিহাস তৈরি করতে চাইছেন ডেভিড মিলার। শেষপর্যন্ত তাঁর লক্ষ্য পূরণ হয় কিনা সেটাই দেখার।
১৯৯২সাল, ১৯৯৯ এবং ২০১১সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের লেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। ১৯৯৯ সালের বি্শ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে কার্যত লহজদ ম্যাচ হাতছাড়া করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১১ সালেও হাড্ডহাড্ডি লড়াই করে হেরে গিয়েছিল প্রোটিয়া বাহিনী।সেই সমস্তকথা অবশ্য একেবারেই মনে রাখতে নারাজ ডেভিড মিলা্র। এবার ভারতের মাটিতেই বিশ্বকাপ জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে রয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার। সেইসঙ্গে ভারতের মাটিতে ডেভিড মিলারের পারফরম্যান্স বরাবরই ভাল। সেই ধারা যে এবারের ওডিআই বিশ্বকাপেও তিনি ধরে রাখতেচান তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এখনওপর্যন্ত তিনবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে দক্ষিণ আফ্রিকা
ডেভিড মিলারের মতে তারা যদি এবারের বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্সটা দিতে পারেন তবে বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবীদার হয়ে উঠতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া সাদা বলের ফর্ম্যাটে ডেভিড মিলারেও দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৬০টি ওডিআই ম্যাচ খেলেছেন ডেভিড মিলার। সেখানেই ডেভিড মিলার রান পেয়েছেন ৪০৯০। একইসঙ্গে ডেভিড মিলারের দেশের জার্সিতে ওডিআই ফর্ম্যাটে গড় রয়েছে ৪২.০৬। ভারতের মাটিতে ইতিহাস তৈরি করতে মরিয়া হয়ে রয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে ডেভিড মিলার বিবিসি স্পোর্টসে জানিয়েছেন, “আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে আমরা বিশেষ কিছু একটা করতেই পারি। বাস্তবটা হল আমরা এখনও পর্যন্ত একটিএও ওডিআই বিশ্বকাপ জিততে পারিনি। সেখানেই উচ্ছ্বসিত হও.য়ার মতো কোনও কারণই নেই আমাদের কাছে। যদিও ব্যক্তিগতভাবে সেই সমস্ত জিনিস নিয়ে আমি খুহব একটা বেশী চিন্তা করি না। অতীতটা অতীতই। সেই সমস্ত ঘটনা একেবারেই আমার ওপর কোনওরকম প্রভাব ফেলতে পারে না”।
সদ্য ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানেই ঘঅজিদের বিরুদ্ধে সেই সিরিজ জিতে নিয়েছে প্রোটিয়া বাহিনী। বিশ্বকাপের আগে সেই সিরিজ জয় যে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।