“তিন বছর আগেই সরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল” – পেইনের বিতর্ক প্রসঙ্গে সিএ চেয়ারম্যান রিচার্ড ফ্রেউডেনস্টাইন

সেক্সটিং স্ক্যান্ডাল প্রকাশ্যে আসতেই অধিনায়কের পদ থেকে ইস্তফা দেন পেইন

Tim Paine
Tim Paine. (Photo by PATRICK HAMILTON/AFP via Getty Images)

টিম পেইনের কুকীর্তি সম্পর্কে জানার পরেও ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়কত্ব দেয়া হয় তাঁকে, এমন সিদ্ধান্তকে ভুল বলছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) চেয়ারম্যান রিচার্ড ফ্রেউডেনস্টাইন।

২০১৭ সালের অ্যাশেজের সময় গ্যাবা টেস্টের আগে পরিচিত নারী সহকর্মীকে কুরুচিপূর্ণ ছবিসহকারে বার্তা পাঠান পেইন। অনৈতিক প্রস্তাবও দেন সেই নারীকে। পরের বছরের মার্চে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয় ক্রিকেট তাসমানিয়া ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

ঠিক সেই সময়ে বল বিকৃতির ঘটনায় জড়িত থাকায় অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব হারান স্টিভ স্মিথ। সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও নিষেধাজ্ঞার সাজা ভোগ করেন স্মিথের সাথে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের সেই দুরাবস্থায় টেস্ট অধিনায়কত্ব পান পেইন।

রিচার্ড ফ্রেউডেনস্টাইন বলেছেন পেইনকে অধিনায়ক করার ফলে ভুল বার্তা গেছে

নারী সহকর্মীর সঙ্গে এমন আচরণে পেইনকে তখন হুঁশিয়ারি বার্তাও পাঠানো হয়। সিএ’র বর্তমান চেয়ারম্যান ফ্রেডেনস্টেইন মনে করেন, এই সময়ের কর্তারা যদি তখন দায়িত্বে থাকতো, তাহলে পেইনকে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়কত্ব দেয়াই হতো না।

উল্লেখ্য যে বিষয়টি যখন রিপোর্ট করা হয়েছিল তখন রিচার্ড ফ্রেউডেনস্টাইন দায়িত্ব হাতে পাননি। তিনি স্বীকার করেছেন যে আগের কর্মকর্তাদের নির্বাচন পদ্ধতি একটি ভুল বার্তা পাঠিয়েছে। 

রিচার্ড ফ্রেউডেনস্টাইন ফক্স ক্রিকেটকে বলেন, “২০১৮ সালের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি কথা বলতে পারব না। আমি সেখানে ছিলাম না। তবে বর্তমান সময়ে আমি একটা কথা বলতে পারি, তা হচ্ছে বর্তমান ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড কখনোই এমন সিদ্ধান্ত নিত না।”

তিনি আরও বলেন, “এমন সিদ্ধান্ত সকলকে ভুল বার্তা প্রেরণ করে। এমন আচরণও প্রত্যাশিত নয়। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট অধিনায়কদের মান অবশ্যই অনেক উঁচুতে। তিন বছর আগেই সরিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।”

এদিকে, পেইন মিডিয়াকে ভাষণ দেওয়ার সময় বিষয়টি নিয়ে চরম দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর বক্তব্য পেশ করার সময় ভেঙে পড়েছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তাঁকে ক্ষমা করার জন্য।

“আমি অস্ট্রেলিয়ান পুরুষদের টেস্ট দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি। এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত, তবে আমার, আমার পরিবার এবং ক্রিকেটের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত,” পেইন বিবৃতি দেন। 

“২০১৭ সালে আমার কাজগুলি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অধিনায়ককে শোভা দেয় না। আমি আমার স্ত্রী, আমার পরিবার এবং অন্য যে কোন কাউকে যে আঘাত ও যন্ত্রণা দিয়েছি তার জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত,” তিনি যোগ করেছেন।

রোষানলে পড়ে নেতৃত্ব ছাড়লেও ৩৬ বছর বয়সী পেইন অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চান। নিজের ইচ্ছার কথা ইতোমধ্যেই মিডিয়াকে জানিয়েছেন তিনি। পেইন না খেললে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে দেখা যেতে পারে অ্যালেক্স ক্যারি বা জশ ইংলিসকে।