২০১৮ সালে সুযোগ পেলেও নাইট রাইডার্সের হয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে রিঙ্কু সিংয়ের সময় লেগে গেল চারটে বছর। ২০২২ সালের আইপিএলের শেষেক দিকে কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে সুযোগ পেয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। তিনি যে কতটা যোগ্য সেটাই বোধহয় এবার সকলকে বুঝিয়ে দিলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। তাঁর পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ এখন গোটা নাইট শিবির। নাইট কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের মুখে শুধু তাঁরই প্রশংসা। এবারের আইপিএলের অন্যতম খোঁজ যে রিঙ্কু তা মানতে দ্বিধা নেই ম্যাকালামের।
Advertisement
Advertisement
পরবর্তী মরসুমে হয়ত আর কেকেআরের কোচের পদে থাকবেন না তিনি। কিন্তু রিঙ্কু সিং যে এই মুহূর্তে নাইট রাইডার্স শিবিরের অন্যতম সম্পদ তা মানতে দ্বিধা নেই নাইট রাইডার্স কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম। আসন্ন কয়েক মরসুমে রিঙ্কু সিং যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম দক্ষ ক্রিকেটার হয়ে উঠবেন তা মানতে এতটুকু দ্বিধা নেই কলকাতা নাইট রাইডার্স কোচের। তাঁর ওপরে আরও নজর দেওয়া উচত্ বলেই মনে করেন ব্রেন্ডন ম্যাকালাম।
এই প্রসঙ্গে ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, “অবশ্যই রিঙ্কু সিং এই মরসুমের অন্যতম খোঁজ। আমার মনে হয় রিঙ্কু এমন একজন ক্রিকেটার যাঁর ওপর নাইট রাইডার্স আরও বেশী করে নজর দেবে। আমার মানতে কোনও দ্বিধা নেই যে আসন্ন কয়েক বছরে কেকেআর শিবিরকে অনন্য সম্মান এনে দেবেন এই তরুণ ক্রিকেটার”।
লখনউয়ের বিরুদ্ধে ১৫ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রিঙ্কু সিং
এবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে যেকটা ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছে, নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন রিঙ্কু সিং। আইপিএলের প্রথম দিকে নাইট রাইডার্স শিবিরে সুযোগ পাননি রিঙ্কু সিং। প্রতিযোগিতার শেষের দিকে যখন নাইটদের সামনে কঠিন পরিস্থিতি, সেই সময়ই তাঁকে দলে সুযোগ দেওয়া হয়। সেই সুযোগ কিন্তু কাজে লাগিয়েছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। এমনকী শেষম্যাচে নাইট রাইডার্স হেরে গেলেও, রিঙ্কু সিং কিন্তু সকলের মন কেড়ে নিয়েছেন।
আইপিএলের শেষ ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই ম্যাচেই লোকেশ রাহুল ও কুইন্টন ডিকক বিরাট পার্টনারশিপে ভর করে রানের পাহাড় গড়ে তুলেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। সেই ম্যাচেই সকলে যখন ব্যর্থ হয়েছিল, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিধ্বমসী ইনিংস খেলেছিলেন এই তরুণ ক্রিকেটার। তাঁর হাত ধধরে নাইট রাই়ডার্স একসময় জয়ের আশা জেগে উঠেছিল। ১৫ বলে তাঁর ঝোরো ৪০ রানের ইনিংস দেখে আপ্লত হয়েছে সকলে। যদিও ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি তিনি। ম্যাচের ট্র্যাজিক হিরো হয়েই রয়ে গিয়েছেন রিঙ্কু সিং। কিন্তু তাঁর এই পারফরম্যানম্স যে ভবিষ্যতের রাস্তা অনেকটাই প্রশস্ত করে দিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।