ডমিনিকাতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভয়ঙ্কর কয়েক ঘণ্টা কেটেছে। সেন্ট লুসিয়া থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরত্বের একটি প্রায় পাঁচ ঘন্টার সমুদ্রযাত্রা করেছিল দল। যদিও, সেই ভ্রমণ বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের জন্য একেবারেই সুখদায়ক হয়নি। দলের সদস্যরা ডমিনিকাতে আসার সময় বেশিরভাগ খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
Advertisement
Advertisement
জলযানটি অর্ধেক দূরত্ব অতিক্রম করার সাথে সাথেই প্রবল ঢেউ ওঠে এবং জলযানটি একটি ফেরি হওয়ায় ছয় থেকে সাত ফুট উঁচু ঢেউয়ের মধ্যেই সেটি অনিয়ন্ত্রিতভাবে দুলতে থাকে। একের পর এক ক্রিকেটার অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন। শরিফুল ইসলাম এবং নাফীস ইকবাল ছিলেন সবচেয়ে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হওয়া দুই খেলোয়াড়।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন ভয়ানক ঘটনাটিকে লাইমলাইটে নিয়ে আসে। সেখানে উল্লেখ করা হয় শরিফুল পুরো ভ্রমণপথে বারবার বমি করতে থাকেন। স্বাগতিক দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ কখনওই আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে জাহাজে করে যায়নি।
উল্লিখিত মিডিয়া হাউসের উল্লেখ অনুসারে বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটার বলেন, “আমরা এখানে অসুস্থ হয়ে মারাও যেতে পারি, তাদের কিছুই হবে না।” আরেক ক্রিকেটার বলেছেন, “আমি অনেক দেশ সফর করেছি, এই প্রথম এমন কিছু অনুভব করছি। আমরা কেউই এতে অভ্যস্ত নই। খেলার কথা ভুলে যান, ফেরিতে আমাদের কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে কী হবে। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে সফর।”
এদিকে, শনিবারে ডমিনিকায় উইন্ডসর পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ দল প্রস্তুত। টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারার পর, সফরকারী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কঠোর জবাব দিতে চাইবে, এবং ক্যারিবিয়ানরা টেস্ট সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাস সীমিত ওভারের সিরিজে পুঁজি করে খেলতে চাইবে। বাংলাদেশ দল যত তাড়াতাড়ি এই দুঃসহ স্মৃতি ভুলবে তত তাড়াতাড়ি খেলার মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে।