অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল প্রকাশ করেছেন যে তাঁর পরিকল্পনা ছিল ‘আরো বেশি ক্রিজ ব্যবহার করা’, যে কারণে একটি উইকেটহীন স্পেল পিছনে ফেলে এসে কানপুরে প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সম্ভাব্য ম্যাচ জেতানোর জায়গায় দলকে নিয়ে এসেছেন। অক্ষর প্যাটেলের ৫ উইকেট সম্পর্কিত পরিকল্পনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন বোলার নিজে।
Advertisement
Advertisement
শনিবার নিজের চতুর্থ টেস্টে কেরিয়ারের পঞ্চম ফাইভ-ফারটি দখল করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তিনি মাত্র চতুর্থ বোলার যিনি এই দুর্দান্ত কীর্তি অর্জন করেছেন।
ক্রিজের কোণ ব্যবহার করে অক্ষর প্যাটেলের ৫ উইকেট
তৃতীয় দিনের শুরুতে যদিও সব কিছু এতোটা উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল না। অক্ষর প্যাটেল ১০ ওভারের পরেও উইকেটহীন ছিলেন এবং ভারত তখনও তাদের প্রথম উইকেটের সন্ধান করছিল। তারপর তাঁর ৫/৬২ ব্ল্যাক ক্যাপসের মিডল অর্ডারের শিরদাঁড়া ভেঙে দেয় এবং ভারতকে ৪৯ রানের লিড নিতে সহায়তা করে।
দিনের শেষে প্রেস কনফারেন্সে কথা বলতে গিয়ে, অক্ষর প্যাটেল তাঁর পরিকল্পনাটি ব্যাখ্যা করেছেন, “আমি আজ আরও বেশি ক্রিজ ব্যবহার করছিলাম; গতকাল সেই ১০ ওভারে তেমনটা করিনি। কিন্তু আজ, আমি ক্রিজ বেশি ব্যবহার করছি, [বোলিং করেছি] ক্রিজের বাইরে বা স্টাম্পের কাছাকাছি। উইকেট থেকে আমি কিছু সাহায্যও পেয়েছি।”
প্যাটেলের পাঁচ উইকেটের মধ্যে চারটি এসেছে ক্রিজের কোণকে ব্যবহার করে। তাঁর গতির বৈচিত্র্য এবং পিচ থেকে বর্ধিত সাহায্যকে কাজে লাগিয়েছেন। বল টার্ন করবে নাকি সোজা যাবে সে বিষয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করে চাপ তৈরি করেছেন। ফলে ব্যাটারদের ব্যাট থেকে অনেক ক্ষেত্রে ভুল শট বেরিয়েছে।
অক্ষর প্যাটেল ২য় দিনে একটি খারাপ প্রদর্শন পেরিয়ে দলের সামগ্রিক প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে এবং প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় দলের পরিবেশ শান্ত রেখেছিলেন এবং তাদের প্রথম উইকেটের ব্যাপারে ধৈর্যশীল হতে বলেছিলেন।
ধৈর্য না হারালেই উইকেট আসবে, আশা ছিল এমনই
অলরাউন্ডার যোগ করেছেন, “আমরা দলের মধ্যে কথা বলেছিলাম এবং প্রথম ৬৭ ওভারে যখন আপনি উইকেট পান না তখন এটা খুবই কঠিন। কী হবে, কী ঘটবে না তা নিয়ে আপনি ভাবতে বাধ্য। কিন্তু আমরা আজজু ভাই (অজিঙ্কা রাহানে) এবং রাহুল স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দলে যে পরিবেশ তৈরি করেছিল তা শান্ত ছিল এবং তাদের পরিকল্পনা ছিল ধৈর্য ধরে রাখা।”
অক্ষর প্যাটেল যোগ করেছেন, “সুতরাং পরিকল্পনা ছিল ধৈর্য ধরে রাখা এবং আজ আমরা প্রথম ও দ্বিতীয় সেশনে যেভাবে বোলিং করেছি, আমরা তার পুরষ্কার পেয়েছি। আমরা যদি ৬৭ ওভারে উইকেট না পেয়ে নিজেদের উপর চাপ নিতাম, তাহলে নিজেদের ক্ষতি হত। আমরা জানতাম আমাদের পাঁচজন বোলার আছে এবং কেউ না কেউ উইকেট তুলবে।”
শুবমান গিলের উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ১৪ রান করেছে। স্বাগতিকরা এখনও ৬৩ রানে এগিয়ে রয়েছে এবং রবিবার কমপক্ষে ২০০ রানে যাওয়ার কথা ভাববে।