টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল অস্ট্রেলিয়া। দুবাইয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য ১৭২ রান তাড়া করে অনায়াসে ৮ উইকেটে জিতে টি-২০ ক্রিকেটে বিশ্বসেরা হল অ্যারন ফিঞ্চের দল। পাঁচবার ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয়ের পর এবার প্রথম টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ ও জোস হ্যাজেলউড। ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৫ রানের মধ্যে ওপেনার-অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে ডেভিড ওয়ার্নার-মিচেল মার্শ ৫৯ বলে ৯২ রানের পার্টনারশিপে ভর করে দলকে জয়ের নিশ্চিত জায়গায় নিয়ে যান। একেবারেই ভাল হল না কিউইদের বোলিং। ট্রেন্ট বোল্ট ছাড়া পুরো কিউই বোলিং অসহায় আত্মসমর্পণ করল।
Advertisement
Advertisement
অজি ইনিংসের দুটি উইকেটই নেন বোল্ট। ইশ সোধির ওপর আশা থাকলেও তিনি একেবারেই খারাপ বোলিং করেন। ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ফাইনালের সেরা নির্বাচিত হন মিচেল মার্শ। টুর্নামেন্টের সেরা নির্বাচিত হন ডেভিড ওয়ার্নার। যে ওয়ার্নারকে দলে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, টি-২০ বিশ্বকাপ শুরুর আগে।
এরপর ওয়ার্নার (৫৩)-এর আউটের পর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ( ২৮ রান অপরাজিত)-কে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে আনেন মিচেল মার্শ (৫০ বলে ৭৭ রান অপরাজিত)। বিফলে গেল কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (৪৮ বলে ৮৫ রান)-এর দুরন্ত ইনিংস। আরও একবার নিউ জিল্যান্ডের আইসিসি বিশ্বকাপের ফাইনালে হারল। ২০১৫ ও ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০২১ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে গেল কিউইরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ বলে ৮৫ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেললেন কেন উইলিয়ামসন। সেঞ্চুরিটা যখন মনে হচ্ছিল নিশ্চিত, তখনই হ্যাজেলবউডের বলে ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাপ্টেন কেন আউট হয়ে যান। ইনিংসের তখনও ১৩টা বল বাকি ছিল। ১০টা বাউন্ডারি, ৩টি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো ছিল কেনের ইনিংস। মার্টিন গুপ্তিল ২৮ রান করেন। শেষের দিকে ৭ বলে ১৩ রানের অপরাজিত গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন জিমি নিশাম। তবে কিউই ইনিংসের ভাল জায়গায় দাঁড় করানোর সব কৃতিত্বই কেন উইলিয়ামসনের। কেনের আক্রমণে মিচেল স্টার্কের মত তারকা পেসার ৪ ওভার বল করে দেন ৬০ রান। তবে অপর অজি পেসার হ্যাজেলউড দারুণ বোলিং করেন। হ্যাজেলউড ১৬ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট।