পাকিস্তানকে সরিয়ে আইসিসি ওডিআই র‍্যাঙ্কিংয়ে প্ৰথম স্থান দখল করল অস্ট্রেলিয়া

Australia ODI team
Australia ODI team. (Photo by Pankaj Nangia/Getty Images)

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে একটি দুর্দান্ত জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্ৰথম একদিনের ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করেছিল তারা। টানা দুটি ম্যাচ জিতে নিয়ে ওডিআই টিম র‍্যাঙ্কিংয়ে প্ৰথম স্থানে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। বর্তমানে তাদের রেটিং হল ১২১। অন্যদিকে, পাকিস্তানের রেটিং হল ১২০। ভারত ১১৪ রেটিংয়ের সাথে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

এশিয়া কাপ ২০২৩-এর আগে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। এই জয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াকে ওডিআই টিম র‍্যাঙ্কিংয়ের প্ৰথম স্থান থেকে সরাতে সক্ষম হয়েছিল বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল। তবে তারা বেশিদিন এই স্থানটি ধরে রাখতে পারলেন না। পাকিস্তান চলতি এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত একটিও ম্যাচ হারেনি। তারা গ্রুপ এ-তে প্ৰথম স্থান অধিকার করেছিল। সুপার ফোরের প্ৰথম ম্যাচে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি দুর্দান্ত জয় পেয়েছিল।

অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচটিতে খুব ভালো পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেছিল। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং ট্র্যাভিস হেড মিলে ১০৯ রানের একটি সুন্দর পার্টনারশিপ করেছিলেন। হেড ৩৬ বলে ৬৪ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। ওয়ার্নার এই ম্যাচে শতরান করেছিলেন। তিনি ১২টি চার এবং ৩টি ছয় সহ ৯৩ বলে ১০৬ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন।

চলতি সিরিজে এখনও পর্যন্ত দুর্দান্ত ফর্মের প্রদর্শন করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ ব্যাটার মার্নাস ল্যাবুশেন

প্ৰথম এবং দ্বিতীয় উভয় ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন মার্নাস ল্যাবুশেন। প্ৰথম ম্যাচে তিনি ৯৩ বলে অপরাজিত ৮০ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন এবং দলকে জিততে সাহায্য করেছিলেন। এই ম্যাচটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৪৯ ওভারে ১০ উইকেটে ২২২ রান তুলেছিল। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ১৪২ বলে ১১৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ৫৮ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে ২২৫ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল।

দ্বিতীয় ম্যাচটিতে অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৯২ রান করেছিল। এই ম্যাচটিতে ৯৯ বলে ১২৪ রান করেছিলেন মার্নাস ল্যাবুশেন। তিনি এই ইনিংসে ১৯টি চার এবং ১টি ছয় মেরেছিলেন। রান তাড়া করতে নেমে ২৬৯ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্ৰথম এবং দ্বিতীয় উভয় ম্যাচেই ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন ল্যাবুশেন।