১৭ই সেপ্টেম্বর, রবিবার, কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপ ২০২৩-এর ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের প্রদর্শন করেছেন প্রতিভাবান ভারতীয় পেসার মহম্মদ সিরাজ। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার সিরাজের এই পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন।
Advertisement
Advertisement
মহম্মদ সিরাজ ৭ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে শ্রীলঙ্কার ৬ জন ব্যাটারকে আউট করেছিলেন। তার এই অনবদ্য বোলিং পারফরম্যান্সই হল ভারতের ফাইনাল জয়ের মূল কারণ। দাসুন শানাকার নেতৃত্বাধীন দল একের পর এক উইকেট হারিয়ে শেষমেশ মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। ২৯ বছর বয়সী এই পেসার তার দ্বিতীয় ওভারে পথুম নিসাঙ্কা, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চরিথ আসালাঙ্কা এবং ধনঞ্জয়া দি সিলভাকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছিলেন। এরপর তিনি কুশল মেন্ডিস এবং দাসুন শানাকাকে আউট করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার বাকি ৪টি উইকেটের মধ্যে ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া এবং ১টি উইকেট নিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ।
সুনীল গাভাস্কার ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, “বোলিং ছিল একেবারে টপ-ক্লাস। সিরাজ ছয় উইকেট পেলেও অপর প্রান্ত থেকেও চাপ বজায় রেখেছিলেন বুমরাহ। সিরাজ একেবারে অসামান্য ছিলেন, বলটি দুদিকেই মুভ করাতে পারছিলেন, বাঁ-হাতিদের ক্ষেত্রে খুব ভালোভাবে কোণ করে বোলিং করছিলেন, বেশ বুদ্ধিমত্তার সাথে বলটি ডানহাতি ব্যাটারদের থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “ধনঞ্জয় এবং দাসুন শানাকার বিরুদ্ধে তিনি যে ডেলিভারিগুলি করেছিলেন সেগুলি নিখুঁত ছিল এবং তারা সেরা ব্যাটারদেরও সমস্যায় ফেলত।”
“প্ৰথম বল থেকেই সিরাজকে খুব আত্মবিশ্বাসী বলে মনে হয়েছিল” – সুনীল গাভাস্কার
সুনীল গাভাস্কার বলেছেন যে মহম্মদ সিরাজকে প্ৰথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল এবং তিনি শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের খুব বেশি রান করার সুযোগ দেননি।
প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বলেন, “প্রথম এবং সর্বাগ্রে, প্ৰথম বল থেকে তার ছন্দ খুব ভালো ছিল। ফাস্ট বোলাররা আত্মবিশ্বাস পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম ওভারে কিছুটা সময় নেন। একবার আপনি আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেলে, দ্বিতীয় ওভার থেকে আপনার গতি বাড়তে শুরু করে। প্ৰথম বল থেকেই সিরাজকে খুব আত্মবিশ্বাসী বলে মনে হয়েছিল।”
ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩-এর আগে এশিয়া কাপ ২০২৩-এর শিরোপা জয় রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দলের জন্য অবশ্যই একটি অনেক বড় ব্যাপার। মহম্মদ সিরাজ তার এই পারফরম্যান্স থেকে অনেকটা আত্মবিশ্বাস পাবেন বলে আশা করা যায়। শেষমেশ আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতের ফলাফল কি হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।