ম্যাক্সওয়েলের দৌলতে মেলবোর্ণ স্টার্স চতুর্থ স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে

Photo Source: Steve Bell/Getty Images

অলরাউন্ডার ম্যাক্সওয়েলের দৌলতে মেলবোর্ণ স্টার্স চতুর্থ স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি এদিন তিনটি উইকেট তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ১৮ বলে ৩৫ রানও করেন। মেলবোর্ণ স্টার্স তাদের বিবিএলে পুনরুত্থান অব্যাহত রেখেছে। অধিনায়ক গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, হোবার হারিকেনস এর সাথে বৃষ্টি বিঘ্নিত সংঘর্ষে দলকে টানা দ্বিতীয় জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্টাররা হারিকেনসকে ১৫৫ রানে আউট করে। তার আগে মাঠের পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ ছিল। মাঠ বৃষ্টিতে ভিজে যায় ও বৃষ্টির কারণে বারবার ম্যাচ বিরতি ঘোষণা করা হয়। শেষপর্যন্ত অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ব্লাণ্ডস্টোন এরিনাকে আচ্ছাদিত করে দেওয়া হয়। অবশেষে বৃষ্টি থামলে ডিএলএস মেথড এপ্লাই করা হয় ও কাঙ্খিত রানের লক্ষ্যমাত্রা  অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়। ৭ওভারের পরিপ্রেক্ষিতে ৬৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

ম্যাক্সওয়েল সেম হারপারের সাথে কাঙ্খিত রান তাড়া করতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম ওভারে হ্যারিকেন্সের রাইলি মেরিডিথ ২ উইকেট দ্রুত তুলে নিয়ে দলকে ছন্দে ফেরান।

তিনি প্রথম বলটি লেগ সাইডে ওয়াইড দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সক্ষম হননি। পরবর্তী ডেলিভারিতে হার্পারের উইকেট তুলে নেন। তারপরে অজি অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোনিস ব্যাট করতে আসেন। তিনিও তিন বল পরে একইভাবে আউট হয়ে যান। পরের ওভারে হ্যারিকেনসের অধিনায়ক নাথান এলিস, হিল্টন কার্ট্রাইটকে বোল্ড করতে সক্ষম হন। সেইসময় স্টারদের স্কোর ৩উইকেটে মাত্র ৬রান। কিন্তু পরবর্তীতে ম্যাক্সওয়েল এবং থমাস রজার্স প্রথমে ধীর গতির শুরু করেন।

নিজেরা স্বল্প পার্টনারশিপে ইনিংস বিল্ড আপ করতে শুরু করেন। পরবর্তীতে তারাই দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হন।

এর আগে ম্যাক্সওয়েল হারিকেনসকে ৩উইকেট নিয়ে সীমিত রানেই সীমাবদ্ধ করে দিয়েছিল। তিনি পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠকে এসে বলেন, ‘আমি নিজেকে নিয়ে সঠিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি জুয়া খেলেছি।’ এছাড়াও তিনি খারাপ আবহাওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এই এই আবহাওয়ার কারণে ঘুরি ঘুরি বৃষ্টির সাথে পিচ পরিবর্তন হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত স্কিট করতে সক্ষম হচ্ছে বাইশ গজে। আমার ভাগ্য ভালো থাকার কারণে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমি কয়েকটি উইকেট পেয়ে গেছি।’ ভারতীয় বংশোদ্ভুত নিখিল চৌধুরীকেও এই ম্যাচে ভালো পারফর্ম করতে দেখা যায়। সবমিলিয়ে বর্ষশেষে জমজমাট অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ।