টি-২০ বিশ্বকাপের সেরা প্লেয়িং একাদশ বাছাই করলেন আকাশ চোপড়া

একজন ভারতীয় ক্রিকেটারকেও জায়গা দেননি তিনি

Aakash Chopra
Aakash Chopra. (Photo Source: Instagram)

প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার আকাশ চোপড়া ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর সেরা প্লেয়িং একাদশ বেছে নিয়েছেন। চোপড়া ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক জস বাটলারকে দলের ওপেনার-কাম-কিপার হিসেবে বেছে নিয়েছেন এবং তাঁর মতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাটলারের সেঞ্চুরি টুর্নামেন্টের সেরা ইনিংস ছিল।

চোপড়া এরপর ডেভিড ওয়ার্নারকে জস বাটলারের সঙ্গে ওপেন করার জন্য বেছে নেন এবং তারপর পাকিস্তানের ব্যাটিং সুপারস্টার বাবর আজমকে ৩ নম্বরে বাছাই করেন। তাঁর দলের নেতৃত্বর দায়িত্বও সামলাবেন বাবর আজম।

“আমি বাটলারকে বেছে নিয়েছি এবং সে আমার উইকেট-রক্ষকও। প্রায় ৯০ গড়ে ও ১৫১ স্ট্রাইক রেটে ২৬৯ রান করেছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরিটা আমার মনে হয়েছিল টুর্নামেন্টের ইনিংস। আমি ডেভিড ওয়ার্নারকে বেছে নিয়েছি অন্য ওপেনার হিসেবে। তাঁর ২৮৯ রান এসেছে ৪৮.২ গড়ে এবং ১৪৬ স্ট্রাইক রেটে। দুই পাকিস্তান ওপেনার জায়গা পাননি কারণ তাদের স্ট্রাইক রেট খুবই কম,” আকাশ বলেছেন।

“তৃতীয় যে খেলোয়াড়কে আমি বেছে নিয়েছি তিনি হলেন বাবর আজম, ৩ নম্বরে ব্যাট করতে। বাবর উচ্চ ক্লাসের এবং সে আমার ক্যাপ্টেনও। ৬০ গড়ে ৩০৩ রান ১২৬ স্ট্রাইক রেট রেখে,” আকাশ চোপড়া তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে বলেছেন।

আকাশ চোপড়া প্লেয়িং একাদশ গড়েছেন তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে

“৪ নম্বরে, আমি চারিথ আসালঙ্কাকে বেছে নিয়েছি। শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি ব্যাটার ৪৬ গড়ে এবং ১৪৭ স্ট্রাইক রেটে ২৩১ রান করেছেন। তিনি শ্রীলঙ্কার ভবিষ্যত। ৫ নম্বরে, আমি এইডেন মার্করামকে বেছে নিয়েছি। আমি এখানে মিচেল মার্শকে ঢোকাতে পারিনি। মার্করাম ৫৪ গড়ে ১৬২ রান করেছেন প্রায় ১৪৬-এর স্ট্রাইক রেটে। তিনি আমাকে দুই বা তিন ওভারও করে দেবেন,” বলেন চোপড়া। 

দল বাছার সময় গুরুত্ব দিয়েছেন অলরাউন্ডারদের অভিজ্ঞতাকে

অলরাউন্ডার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তার পর মইন আলিকে রেখেছি। তিনি ৪৬ গড়ে এবং ১৩১ স্ট্রাইক রেটে ৯২ রান করেছেন। তিনি সাত উইকেটও তুলেছেন ৫.৫ ইকোনমি রেটে। এর পরে আমি ডেভিড উইসাকে বেছে নিয়েছি। ৪৫ গড়ে ২২৭ রান করেছেন ১২৮ স্ট্রাইক রেটে। আরও গুরুত্বপূর্ণ, তিনি ৭.৪ ইকোনমি রেটে ছয় উইকেট নিয়েছেন। আমি তার সম্পর্কে যে জিনিসটি পছন্দ করি তা হল অভিজ্ঞতা, ছোট দলের খেলোয়াড়ের পক্ষে বড় দলের বিরুদ্ধে ভাল করা সহজ নয়, “চোপড়া বলেছিলেন।

চোপড়ার একাদশে জায়গা পাওয়া চার বোলার হলেন অ্যাডাম জাম্পা, ট্রেন্ট বোল্ট, জশ হ্যাজেলউড এবং আনরিখ নর্কিয়া। 

“জাম্পা আমার দলে আছে। সে আমার একমাত্র লেগ স্পিনার। ৫.৮ ইকোনমি রেটে ১৩ উইকেট মাত্র ১২ গড়ে। ট্রেন্ট বোল্ট আমার পরবর্তী খেলোয়াড়। ৬.৩ ইকোনমিতে ১৩ উইকেট, তাও আবার মাত্র ১৩ গড়ে। তিনি নতুন বল, মিডল ওভার এবং ডেথ বোলিং সর্বত্র মিতব্যয়ী ছিলেন,” চোপড়া বলেছেন।

চোপড়ার মনে হয়েছে জশ হ্যাজলউড টেস্ট ম্যাচ লেংথ বোলিং করেও টি-টোয়েন্টিতে সফল এবং আনরিখ নর্কিয়াকে রকস্টার হিসাবে অভিহিত করে তালিকা শেষ করেছেন।

“হ্যাজলউড দেখিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটের বোলিং দিয়েও সফল হওয়া যায়। তাঁর পরিকল্পনায় অটুট থাকা আমার মন জয় করেছে। আমার শেষ বাছাই হল নর্কিয়া – ৫.৪ ইকোনমিতে নয় উইকেট ১১.৬ গড়ে। তিনি একজন রকস্টার, তিনি স্টাম্পের কাছাকাছি থেকে প্রায় ১৫০ কিমি গতিতে বল করেন এবং বল স্টাম্পের মধ্যেই শেষ হয়,” চোপড়া উপসংহারে বলেছেন। 

আকাশ চোপড়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা প্লেয়িং একাদশ:

জস বাটলার (উইকেটকিপার), ডেভিড ওয়ার্নার, বাবর আজম (অধিনায়ক), চারিথ আসালাঙ্কা, এইডেন মার্করাম, মইন আলি, ডেভিড উইসা, অ্যাডাম জাম্পা, ট্রেন্ট বোল্ট, জশ হ্যাজলউড, আনরিখ নর্কিয়া।